শিরোনাম
◈ খালেদা জিয়ার জানাজা: বুধবার সকাল ৭টা থেকে বন্ধ থাকবে যেসব সড়ক ◈ এবার ভোটারদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বিএনপির ৪ নেতা ◈ জ্বালাময়ী যে বক্তব্যের পর বেগম খালেদা জিয়াকে আর জনসমাবেশ করতে দেওয়া হয়নি (ভিডিও) ◈ এবার কারাগার থেকে প্রার্থী হলেন সাবেক যুবলীগ নেতা ◈ রাজপথের সংগ্রাম থেকে ঘরোয়া স্নেহ—ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধাদের স্মৃতিতে খালেদা জিয়া যেমন ছিলেন ◈ খালেদা জিয়ার প্রধানমন্ত্রীত্বের তিন মেয়াদে আলোচিত ১০টি ঘটনা ◈ খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে আসবেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা ◈ গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অনন্য অনুপ্রেরণা ছিলেন খালেদা জিয়া—ড. কামাল ◈ খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের স্পিকার ◈ ছাত্রদলকর্মীকে ডেকে নিয়ে হত্যা

প্রকাশিত : ৩০ মার্চ, ২০২০, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ৩০ মার্চ, ২০২০, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

করোনাক্রান্তদের জন্য হাসাপাতাল নির্মাণে বাধা যারা বাধা কিংবা উসকানি দিয়েছে, তদন্ত করে তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হোক

অঞ্জন রায় : এই শহরের এতো চার তারকা পাঁচ তারকা হাসপাতাল রয়েছেÑ মানুষের রোগ আর শোকের ব্যবসায়ী সেই হাসপাতালগুলোর মালিকরা একটাও যখন কোনো কথা বলছেন না। তখন উত্তরা আর মিরপুরে রিজেন্ট হাসপাতাল তাদের দুটো হাসপাতালেই করোনাভাইরাস আক্রান্তের চিকিৎসার জন্য রাজি হয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এমএমইউ স্বাক্ষর করলো। সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে একদল মানুষ লেলিয়ে দেওয়া হলো তাদের দাবিÑ এই হাসপাতালে করোনা আক্রান্তের চিকিৎসা হলে এলাকাবাসী নাকি আক্রান্ত হবে? হাসপাতাল ভাঙা হলো। আটকে দেওয়া হলো সেই হাসপাতালে প্রবেশের মূল রাস্তার দুই দিকেই। পরে কোনোভাবে একপাশের পথ খুলেছে। রিজেন্ট হাসপাতাল এখন মোটামুটি প্রস্তুত করোনাভাইরাস আক্রান্তের সেবায়। হাসপাতাল মালিক মো. শাহেদের অভিযোগ এই ঘটনা ঘটেছে ওয়ার্ড কমিশনারের প্ররোচনায় আর উসকানিতে। দেশে এতো কোটিপতি, সেই কোটিপতি শিল্পপতিরা যখন অনেকেই নীরব। তখন এগিয়ে এলো আকিজ গ্রুপ। তারা যখন তাদের নিজস্ব দুই একর জমিতে, মাত্র ১৪ দিনে হাসপাতাল তৈরির কাজে হাত দিলো। তখনই বাধা। এবারেও লেলিয়ে দেওয়া হলো একদল মানুষকে। তাদের বোঝানো হয়েছে সেই একই কথা। এখানে করোনাভাইরাসের চিকিৎসা হলে স্থানীয়দের বিপদ হতে পারে। জনতা হাসপাতালের প্রস্তুতির প্রথমেই ‘বীরের’ মতো হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করলো। এবারেও নেপথ্যে উচ্চারিত হচ্ছে স্থানীয় কমিশনারের কথা। হাসপাতাল করার বিষয়ে কাউন্সিলার শফিউল্লাহ শফি সংবাদমাধ্যমের কাছে নিজের অভিমত বলেছেন, ‘আমি মনে করি এটা যেহেতু মহল্লা হচ্ছে, তাই এখানে করোনারভাইরাসে আক্রান্তদের হাসপাতাল হওয়া ঠিক হবে না। আমি এটার পক্ষে নই’। এতেই পরিষ্কার হয়ে যায় তার আসল চেহারা।
এই সময়টি পরস্পরের সহায়তার সময়, এখন যারাই করোনাভাইরাস মোকাবেলায় উদ্যোগ নিচ্ছেনÑ তাদের সহায়তা করার সময়। কিন্তু সেই সময়ে যদি চিকিৎসার উদ্যোগে এমন বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটে, আলোচিত দুটি ঘটনার পেছনেই কাউন্সিলর বা কমিশনারের নাম আসেÑ বিষয়টি লজ্জার। কাউন্সিলা?ররা হয়তো এই অভিযোগ অস্বীকার করতে চাইবেন। কিন্তু প্রথম ঘটনায় সম্পৃক্তির অভিযোগ ও পরের ঘটনায় ভাঙচুরে বাধা না দেওয়া ও সংবাদমাধ্যমের কাছে বক্তব্য থেকে তাদের মানসিক অবস্থান বুঝে নিতে কষ্ট হয় না। ধিক্কার জানাই এ সব স্বার্থান্ধদের। দাবি করছি দ্রুত তদন্ত করে এই ঘটনাগুলোর যারা পেছনে থেকে উসকানি দিয়েছে তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হোক। এ সব ঘটনার পেছনের মানুষদের হাতে হাতকড়া দেখতে চাওয়াটা এখন সময়ের দাবি। একইসঙ্গে প্রত্যাশাÑ সব বাধা পেরিয়ে দ্রুত এই হাসপাতালের নির্মাণকাজ এগিয়ে যাক। স্বস্তি আসুক। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়