এম আমির হোসেন : উচ্চ তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা সম্ভবত আমাদের জন্য আশীর্বাদ হতে যাচ্ছে। ভাইরাসের সংক্রমণ ক্ষমতা তা কমিয়ে রাখছে। এখন ভয় উপসর্গহীন/মৃদু-উপসর্গের বাহকদের নিয়ে। আমার ধারণা এই গ্রুপে ত্রিশ-চল্লিশ শতাংশ লোক রয়েছে যারা পরীক্ষা করছে না বলে ধরা পড়ছে না। যেহেতু সবার পরীক্ষা করা অসম্ভব তাই লকডাউন আরও সপ্তাহ দুই চালু রাখাই হবে যুক্তিযুক্ত। লকডাউনের নিয়মগুলো যেন সবাই মেনে চলে তা নিশ্চিত করতে হবে। এতে ভাইরাস নতুন বাহক না পেয়ে এমনিতেই মরে যাবে। আরেকটি বিষয় হলো করোনাভাইরাস সম্পর্কে যতোটুকু জানা যায় তারা কোষের এসিই রিসেপ্টরে লেগে যাবতীয় ধ্বংস কার্যক্রম শুরু করে। আমরা জানি শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় অশেতাঙ্গদের এই রিসেপ্টরের ঘনত্ব কম, কৃষ্ণাঙ্গদের একেবারেই কম।
নৃতাত্ত্বিকভাবে আমাদের জেনেটিক গঠনের মিল অশেতাঙ্গদের সঙ্গেই বেশি। এ জন্য আমাদের শরীরে এই ভাইরাসের ক্ষতিকর প্রভাব তুলনামূলকভাবে কম হওয়ার কথা। কৃষ্ণাঙ্গদের মাঝে যেমন আমরা এর প্রকোপ কম দেখছি তেমন। এগুলো আশার কথা। এই আশাকে সত্যে পরিণত করতে পারে বিজ্ঞান। আমাদের যাবতীয় সমস্যার জন্য শেষতক বিজ্ঞানের কাছেই দ্বারস্থ হতে হয়। আজ যা জানা যায়নি এর মানে এই নয় যে, তা কোনোদিনই জানা যাবে না। বিজ্ঞান তা একদিন আমাদের জানাবেই জানাবে। জয় হোক মানুষ ও বিজ্ঞানের। ফেসবুক থেকে