শিরোনাম
◈ গভীর সমুদ্রে মাছ আহরণের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ◈ আ.লীগের নতুন পরিকল্পনা হাসিনাকে দেশে ফেরাতে, ঢাকায় প্রশিক্ষণ ◈ সাপুড়ের প্রাণ নেয়া সাপটিকে কাচা চিবিয়ে খেয়ে নিলো আরেক সাপুড়ে ◈ লুইস ‌দিয়াস লিভারপুল ছেড়ে দি‌লেন, চার বছরের চুক্তিতে ঢুক‌লেন বায়ার্নে মিউ‌নি‌খে ◈ রাষ্ট্র মেরামত ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার সুযোগ কোনোভাবেই মিস করা যাবে না: আইন উপদেষ্টা  ◈ দুই ছাত্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে: নাহিদ ইসলাম (ভিডিও) ◈ ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা: জামিন পেলেন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ফারাবী ◈ প্রথম পর্বে ৬২ বিষয়ে ঐকমত্যে রাজনৈতিক দলগুলো, তালিকা প্রকাশ করলো কমিশন ◈ জামায়াত আমিরের হার্টে তিনটি ব্লক, বাইপাস সার্জারির সিদ্ধান্ত ◈ ছোট-খাটো বিষয়গুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুৃলোকে বিভেদ সৃষ্টি না করার’ আহ্বান

প্রকাশিত : ৩০ মার্চ, ২০২০, ০২:৫২ রাত
আপডেট : ৩০ মার্চ, ২০২০, ০২:৫২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] বগুড়ায় রাস্তা দখলের প্রতিবাদ করায় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকে হত্যা

আবদুল ওহাব, শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: [২] শনিবার বগুড়া শহরের লতিফপুর কলোনী এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।

[৩] উপজেলার বনানী বন্দর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক নুর আলম (২৬) নামে এবং গণ্ড গ্রামের আবদুল মজিদের ছেলে।

[৪] এলাকাবাসি জানান, গণ্ডগ্রামটি বগুড়া পেরৈসভার অর্ন্তভুক্ত হওয়ায় প্রায় ৩ কিলােমিটার রাস্তা পাকা করণ কাজ চলছে। এজন্য রাস্তার দুপাশে অবৈধভাবে দখলকৃত স্থাপনাগুলো সরিয়ে নিতে বলা হলে প্রায় সকলেই দখলমুক্ত করলেও ওই এলাকার মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে বাবলু মিয়া রাস্তার পাশে গাইড ওয়াল নির্মান করে। ফলে রাস্তাটি সংকুচিত হওয়ায় এলাকার অনেকের সাথে সেও প্রতিবাদ করে।

[৫] এনিয়ে দুইদিন আগে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয় এবং বাবলুমিয়া আহত হয়। পরবর্তীতে নুর আলমের বিরুদ্ধে শাজাহানপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

[৬] নিহতের পিতা-মাতা বোন অভিযোগ করে জানান, এসবের কারণে প্রায় দিন তাদের বাড়িতে পুলিশ আসতো এবং পুলিশের সাথে বাবলুর লোকজন এসে প্রকাশ্যে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে যেতো। এনিয়ে থানায় মামলা করতে গেলে মামলা নেয়া হয়নি বরং আরও নানা ভয়ভীতি দেখানো হতো। বাধ্য হয়ে নুর আলম ২ দিন যাবত বাড়ি থেকে পালিয়ে বগুড়া শহরের লতিফপুর কলোনীতে থাকতো।

[৭] এমতাবস্থায় সকালে অজ্ঞাত নম্বর থেকে ফোন আসে নুর আলম অসুস্থ, তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়। এরপর সেখানে গেলে তারা দেখতে পান নুর আলমের নিথর দেহ সেখানে পড়ে আছে। পরে তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।

[৮] নিহতের স্বজনদের দাবী নুর আলমকে গভীর রাতে ঘুমের ঔষধ বা নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে কয়েকজনে মিলে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেছে। এবিষয়ে জানার জন্য বাবলু মিয়ার বাড়িতে গিয়ে তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

[৯] এদিকে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের কারন জানতে চাইলে শাজাহানপুর থানার ওসি আজিম উদ্দিন বলেন, নুর আলমকে তো গ্রেপ্তারই করতে পারিনি। সুতরাং এসব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। আর ময়না তদন্তের প্রতিবেদন আসলে বিষয়টি বিস্তারিত জানা যাবে। সম্পাদনা: তিমির চক্রবর্ত্তী

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়