শরীফ শাওন : [২] অধ্যাপক ড. সাহ এহসান হাবিব বলেন, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমরা রফতানি খাতে সর্বাধিক আয় করে থাকি। বিদেশে কাজ করার মাধ্যমে অনেক র্যামিটেন্স আসে। পর্যটন শিল্প অন্যতম আয়ের মাধ্যম। বৈশ্বিক প্রভাবের কারণে খাতসমুহ প্রায় বন্ধের পথে। রফতানি কার্যাদেশ বাতিল হচ্ছে। অন্যান্য রফতানি খাতেও ধ্বস নেমেছে। অনেক দেশ থেকেই ইতোমধ্যে অনেক প্রবাসী চলে এসেছেন। পর্যটন খাতে আয় সম্ভব হচ্ছে না।
[৩] ড. এহসান হাবিব বলেন, বাংলাদেশে ব্যবসার ক্ষেত্রে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ বন্ধ হবার আশঙ্কা রয়েছে। এতে অনেক কলকারখানা বন্ধ হতে পারে। সামাজিক আয়ে তার প্রভাব পড়বে। সীমিত হবে চাকরীর ক্ষেত্র। শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ছে। সর্বোপরি নিন্ম আয়ের লোকজন বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
[৪] পরিবেশ বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান বলেন, করোনা আতঙ্কে সাধারন ছুটি ঘোষণায় পরিবেশে পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। শহরাঞ্চলগুলোতে কমেছে বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ ও ধুলোর পরিমান। কলকারখানা বন্ধের কারণে রাসায়নিক বর্জ্য নেই। কমেছে খাল বিল ও নদীর পানিদূষণ। রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ হওয়ায় কমছে ধুলো। গাছের পাতায় ধুলো কম থাকলে মৈমাছিসহ মধু আহরণকারী কীটপতঙ্গ বেশি আসবে। পরাগায়ণ বেশি হবে, বিশুদ্ধ পরাগায়ণের ফলে প্রচুর ফুল ও ফলন হবে।
[৫] অধ্যাপক কামরুজ্জামান বলেন, ইতোমধ্যে রাস্তাঘাটে পাখি ও সমুদ্রের উপকূলে ডলফিনের দেখা মিলছে। সুন্দরবন, নিঝুমদ্বীপসহ অভযারন্য স্থানগুলোতে বণ্যপ্রানীদের অবাধ চলাচল নিশ্চিত হবার কারনে তাদেরও দেখা মিলছে। অবাধ চলাচল নিশ্চিত করলেই বাস্তুসংস্থানের পরিবর্তন আসবে, বাড়বে বংশবৃদ্ধি।
[৬] তিনি বলেন, এসময় পরিবেশ, বণ ও জলবায়ু অধিদপ্তর ও সিটি করপোরেশন বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে ভবিষ্যত পরিকল্পনা তৈরি করে সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখা সম্ভব হবে।
আপনার মতামত লিখুন :