শিরোনাম
◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও) ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী 

প্রকাশিত : ২৯ মার্চ, ২০২০, ১২:২৬ দুপুর
আপডেট : ২৯ মার্চ, ২০২০, ১২:২৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] স্বামী নিখোঁজের পর স্ত্রীর দ্বিতীয় বিবাহের বিধান এবং শরিয়াত সম্মত পদ্ধতি

ইসমাঈল আযহার: [২] কোনো মেয়ের স্বামী নিখোঁজ হয়ে গেলে বিচ্ছেদের শরিয়তসম্মত পদ্ধতি হলো, প্রথমে দেখতে হবে মেয়েটিকে তালাকের অধিকার দেওয়া হয়েছে কিনা৷ যদি দেওয়া থাকে, তাহলে মেয়ে নিজের উপর নিজেই তালাক গ্রহণ করবে৷ অতপর ইদ্দত পালনের পর অন্যত্রে বিবাহ বসবে৷ আর যদি তালাকের অধিকার দেওয়া না থাকে, তাহলে মুসলিম বিচারকের নিকট নিজ সমস্যার কথা উল্লেখ করে মামলা দায়ের করবে৷ যদি এ রকম বিচারক না পাওয়া যায়, তাহলে মুসলিম পঞ্চায়েতে বা ওলামায়ের কেরামের নিকট সমস্যা পেশ করবে৷ এবং তাদের নিকট বিবাহ বন্ধন ও নিখোঁজের সাক্ষী প্রমান পেশ করবে৷

[৩] মেয়েটি স্বামীর তল্লাশি নিবে৷ তল্লাশির পর যখন প্রমানিত হবে প্রকৃত অর্থেই তার স্বামী নিখোঁজ৷ বিচারক বা ওলামায়ে কেরাম নিখোঁজ স্বামীর স্ত্রীকে চার বছর অপেক্ষা করার জন্য আদেশ দিবে৷ চার বছর পুর্ন হলে মেয়ে বিচারক বা ওলামায়ে কেরামকে জানাবে৷ অতপর তারা তার স্বামীকে মৃত সাব্যস্ত করে স্ত্রীকে মৃত স্বামীর ইদ্দত ৪ মাস দশদিন পালনের আদেশ দিবে৷ ইদ্দত পালনের পর এ মহিলা অন্যত্র বিবাহ বসতে পারবে৷

[৪] মেয়েটির জন্য যদি চার বছর অপেক্ষা করা কোনোক্রমেই সম্ভবপর না হয় ৷ যেমন তার খোরপোষের ব্যবস্থা না থাকা, বা অন্যত্রে বিবাহ না হলে কুকর্মে লিপ্ত হওয়া প্রবল আশংকা থাকা ৷ তাহলে বিচারক বা ওলামায়ে কেরাম মেয়েটিকে চার বছরের পরিবর্তে এক বছর অপেক্ষা করার নির্দেশ দিবে ৷ অতপর এক বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর মেয়েটি বিচারক দ্বারা বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা করিয়ে নিবে ৷ এবং তালাকপ্রাপ্তা মেয়ের ইদ্দত,’ তিন ঋতস্রাব’ পালনের পর অন্যত্রে বিবাহ বসতে পারবে৷ ইমদাদুল মুফতিয়ীন, পৃ: ৫৫৮-৫৯; আল হিলাতুন নাজেযা, পৃ: ৬৯৷

[৫] যদি স্ত্রী তালাকের অধিকার প্রাপ্ত হয়ে প্রথম স্বামী থেকে তালাক গ্রহন করে দ্বিতীয় স্বামী গ্রহন করে থাকে, তাহলে তাদের দ্বিতীয় বিবাহ বহাল থাকবে৷ আর যদি তালাকের অধিকারপ্রাপ্ত না হয়ে থাকে, তাহলে শরিয়তসম্মত উল্লেখিত পদ্ধতি অনুযায়ী বিচ্ছেদ হওয়ার পর যদি দ্বিতীয় বিবাহ হয়, অতপর স্বামী ফিরে আসলে, হানাফি সহিহ মতানুযায়ি উক্ত স্ত্রীর প্রথম স্বামীর স্ত্রী হিসেবে বহাল থাকবে৷

[৬] দ্বিতীয় স্বামীর সাথে বিবাহ বাতিল হয়ে যাবে৷ আর যদি শরিয়তসম্মত পন্থায় বিচ্ছেদ না ঘটিয়ে অন্যত্রে বিবাহ বসে থাকে৷ তাহলে সর্বসম্মতিক্রমে উক্ত স্ত্রী প্রথম স্বামির স্ত্রী হিসেব বহাল থাকবে৷ সর্বাবস্তায় প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে শিবহে নিকাহ হওয়ার কারণে গর্ভের বাচ্চাটির নসব দ্বিতীয় স্বামি থেকে হবে৷ ইমামদুল মুফতিয়ীন, পৃ: ৫৫৮; আল হিলাতু নাজেযা, পৃ: ৮৭-৮৮৷

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়