শিরোনাম
◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য ◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল ◈ চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা, আসলে কী ঘটছে

প্রকাশিত : ২৮ মার্চ, ২০২০, ০৬:০৬ সকাল
আপডেট : ২৮ মার্চ, ২০২০, ০৬:০৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] জীবিকার তাগিদে সড়কে শ্রমজীবী মানুষ, তবে কাজ মিলছে না তাদের

শাহীন খন্দকার : [২] কোভিড-১৯ বিস্তার রোধে সরকার ঘোষিত ছুটির আজ তৃতীয়দিন রাজধানীসহ দেশ রয়েছে অঘোষিত ‘লকডাউন’ অবস্থায়। ইতোমধ্যে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া নাগরিকদের ঘরের বাইরে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে। দুই জনের একসঙ্গে চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা। এ অবস্থায় খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছেন বিপাকে। তার পরেও ‘লকডাউন’ অবস্থায় নিষেধাজ্ঞা না মেনেই বের হচ্ছেন তারা।

[৩] শনিবার (২৮) মার্চ সকালে নগরীর মোহম্মদপুর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তায় বের হওয়া মানুষের প্রায় সবাই জীবিকার তাগিদে ঝুঁকি নিয়ে বের হয়েছেন। তবে তাতেও খুব একটা সাড়া পাচ্ছেন না। নাগরিকদের কেউ রিকশা বা গণপরিবহন ব্যবহার করে যাওয়ার মতো কাজে যোগ দিচ্ছেন না। যারা একান্তই জরুরি প্রয়োজনে বের হচ্ছেন, তারাও স্বল্প দূরত্বের পায়ে হাঁটা পথে বের হচ্ছেন। রিকশা, সিএনজি বা অন্য কোনও বাহন তারা ব্যবহার করছেন না।

[৪] সকালে কৃর্ষি মার্কেটে ও জাপান সিটি গার্ডেনেসহ নুরজাহান রোডের সামনে কথা হয় বেশ কয়েকজন রিকশাচালকের সঙ্গে। তাদের একজন জসিম মিয়া। তিনি বলেন, স্ত্রী ও সন্তানসহ ছয় জনের পরিবার চালাতে হয়। আয় না করে বাসায় ফিরলে রাতে উপোস থাকতে হবে। সে কারণে রাস্তায় রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। পরিবার পরিজন নিয়ে তার মতো অনেকেই বাশঁবাড়ি এলাকায় বিভিন্ন ফ্লাটবাড়ী ভাড়া নিয়ে এক রুম করে প্রতি ফ্লাটে ৫ থেকে ৬টি পরিবার থাকছে। স্ত্রী ও মেয়ে বাসা-বাড়ি আবার কেউ গার্মেন্টস কর্মী আর পুরুষেরা রিকসা চালায়। ফ্লাট বাড়িতে তো সাহায্য নিয়া কেউ যাবে না । তাই রিকসা নিয়ে বাহির হয়ে এসেছি গ্যারেজ থেকে ।

[৫] জসিম মিয়া আরো বলেন, আমার মতো এমন বহু রিকশাচালক রয়েছেন, যাদের ঘরে কোনও খাবার নেই। রিকশার চাকা ঘুরলেই আমাদের সংসারের হাড়িতে চাল ফুটে কিন্তু এখন কোনও যাত্রী নেই। মানুষ ঘর থেকে তেমন একটা বের হচ্ছেন না। বের হলেও তারা রিকশা বা সিএনজি ব্যবহারের মতো দূরত্বে যাচ্ছেন না। ভোর থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র ৮০ টাকা ভাড়া পেয়েছি।

[৬] গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফার্মগেটে কথা হয় আরও কয়েকজন রিকশাচালকের সঙ্গে। তাদের একজন শাকিল মিয়া। তিনি বলেন, ঘরে বসে থাকলে পরিবার চালাবো কীভাবে? আমাদের তো ঘরে কোনও কিছুর স্টক নেই, সেই সামর্থ্যও নেই। তাই পেটের তাগিদে বের হয়েছি। সারা দিনে ১৫০ টাকা ভাড়া পেয়েছি। এই যুগে এই টাকা দিয়ে কী হয়?

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়