শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ২৮ মার্চ, ২০২০, ০৯:১৭ সকাল
আপডেট : ২৮ মার্চ, ২০২০, ০৯:১৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ভারতে ১২ লাখ মানুষ সংক্রমণের আশঙ্কা আগামী ৩ মাসে

ডেস্ক রিপোর্ট : [২] সম্প্রকিত এক সমীক্ষায় এমনটি বলা হয়েছে। গতকাল ভারতের কেবিনেট সেক্রেটারি রাজিব গাউবা বলেছেন, বিমান বন্দর থেকে যারা বেরিয়ে গেছে তাদের প্রকৃত সংখ্যা এবং বিদেশ প্রত্যাগত যাদের মনিটর করা হচ্ছে, এই দুইয়ের মধ্যে ‘ব্যবধান’ মিলেছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গসহ সকল রাজ্যের মুখ্য সচিবদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এতে কেবিনেট সচিব বলেছেন, সকল রাজ্য গত ২ মাসে বিদেশ ফেরতদের অবিলম্বে পর্যবেক্ষণে আনতে হবে। কারণ তাদের অনেকেই করোনা আক্রান্ত দেশ থেকে এসেছেন। এনডিটিভি, দ্যা হিন্দু, মানবজমিন

[৩] সম্প্রতি প্রকাশিত সমীক্ষায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় আর সিডিডিইপি বলেছে, ভারতে ২১ দিনের লকডাউন অকার্যকর হতে পারে। কারণ আগামী দু’মাসে ব্যাপক হারে বাড়বে সংক্রমণ মাত্রা । এপ্রিল, মে আর জুন মিলিয়ে প্রায় ১২ লাখ মানুষ সংক্রমিত হতে পারে। ওই দুই সংস্থার  দাবি, জনঘনত্বই সংক্রমণের মাত্রার ব্যাপক বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। অপর্যাপ্ত শারীরিক দূরত্বের জেরে ছড়িয়ে পড়বে সংক্রমণ।এরফলে মোট সংখ্যা (উপসর্গ নেই, চিকিৎসাধীন আর উপসর্গ মিলিয়ে) ২৫ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে।

[৫]জানা যায়, জনঘনত্বের বিচারে সেভাবে স্ক্রিনিং হয়নি এবং জন-দূরত্ব কম, এ দু ’কারণে করোনা বিপর্যয় আরও গ্রাস করতে পারে ভারতকে। ইতোমধ্যেই মার্কিন এক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশ্ন তুলেছে, হাসপাতালের বাইরে সংক্রামিত কত, সেই তথ্য নেই ভারতের কাছে। জনঘনত্বের বিচারে এখনও যে পরিমাণ মানুষকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে, মোট জনসংখ্যার বিচারে তা অতি নগণ্য।

[৬] লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের প্রফেসর নিল ফার্গুসনের নেতৃত্বাধীন সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়,  যদি উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেয়া হয়, তাহলে ব্রিটেনে আড়াইলাখ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দশ লাখের বেশি লোকের মৃত্যু হতে পারে। এরপর এপিডেমিওলজিস্টরা একই মডেলে এশিয়ার কোনো কোনো দেশকে সমীক্ষার আওতায় আনেন। এরপর কোনো কোনো দেশ সম্পর্কে বলা হয়, সেখানে কোনো পদক্ষেপ না নিলে ৫ লাখের বেশি লোকের মৃত্যু হতে পারে। সাড়ে ৭ কোটির বেশি মানুষের মধ্য লক্ষণ দেখা যেতে পারে।

[৭] ভারত সম্পর্কে জন হপকিন্সের ওই সমীক্ষা রিপোর্টে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যেও মৃত্যুর হার বাড়তে পারে। মহামারীর সঙ্গে লড়তে স্বাস্থ্যকর্মীদের পর্যাপ্ত সংক্রমণ-প্রতিরোধী উর্দি (মাস্ক-গাউন) সরকারের বরাদ্দ করা উচিত। নয়তো তাঁদের মাধ্যমে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে অন্য জনগোষ্ঠীর মধ্যেও।

[৮]সেই সমীক্ষায় পরামর্শ দিয়ে বলা হয়, যত্রতত্র টেস্টিং আর শারীরিক দূরত্ব বজায়, এই দু'য়ের মাধ্যমে সংক্রমন কিছুটা কমানো যেতে পারে। পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধি করে আতঙ্কের পরিবেশ থেকে মানুষকে বের করে আনা এখন বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সম্পাদনা : মাজহারুল ইসলাম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়