আসিফ : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শতবর্ষে সরকারের কাছে আর্জি ছিলো দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হঠাৎ করেই ম্যাডামের মুক্তির ঘোষণা দিয়ে মুজিব শতবার্ষিকীকে মহিমান্বিত করলেন। দেশের এই ক্রান্তিকালীন সময়ে শারীরিকভাবে অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির সিদ্ধান্ত দেশবাসীকে আশান্বিত করেছে। আজন্ম সুবিধাভোগী বিতর্কবাজরা বকর বকর করেই যাবে, এতেই তাদের ফায়দা। দুই নেত্রী হারিয়েছেন তাদের প্রিয়জন। স্বজন হারানোর ব্যথা তাদের চেয়ে বেশি আমাদের কখনোই নয়। চার দশক ধরে আন্দোলন, সংগ্রাম এবং রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন জননেত্রী এবং দেশনেত্রী। তাদের একটা জীবন অতিবাহিত হয়েছে দেশের মানুষকে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে। বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনা-দুর্ঘটনা পরিক্রমায় বেড়েছে প্রতিহিংসা বিদ্বেষ আর দূরত্ব। দেশ এবং দেশের মানুষের ভেতরে বেড়েছে বিভক্তি বিভাজন আর রাজনীতির নামে শত্রু শত্রু খেলা। শান্তিতে থাকতে পারেননি কোনো পক্ষই। মাঝখানে চোর-বাটপারের দখলে চলে গেছে দেশ, বদনাম হয়েছে ত্যাগী দুটি পরিবারের।
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মাধ্যমে দেশে নতুন সম্প্রীতির রাজনীতি শুরু হবে আমার বিশ্বাস। দুই নেত্রীর প্রতি অনুরোধ ডান-বাম শাখা-প্রশাখার সঙ্গে ঐক্যজোট নামের অভিশপ্ত রাজনীতি বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নামে নিজস্ব আদর্শিক রাজনীতি শুরু করুন, প্রয়োজনে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিন। বৃহৎ এই দুই দলই যথেষ্ট দেশের মানুষকে নেতৃত্ব দিতে। ছোট দেশে গণতান্ত্রিক রাজনীতির নামে এতোশত রাজনৈতিক দোকানের কোনো প্রয়োজন নেই। তারা পারলে এই বড় দু’দলের আঁচলতলে না থেকে নিজেরা জনমত গঠন করে আসুক নেতৃত্বে। আমরা চাই নব্বইয়ের মতো জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা হোক। রাডারবিহীন জাতি বিভেদ ভুলে আবার ঐক্যবদ্ধ হোক। জননেত্রী এবং দেশনেত্রীর সুদীর্ঘ আয়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করি। সুবিধাবাদী চাটার দল নিপাত যাক- মহান স্বাধীনতা দিবসে এটাই হোক জাতির প্রত্যয় প্রত্যাশা। ফেসবুক থেকে