অনলাইন ডেস্ক: [২] চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর, যেখান থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে; সেখানকার যে নারী সবার আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন, তিনি জ্যান্ত বাগদা চিংড়ি বাজারে বিক্রি করতেন। বন্যপ্রাণী বিক্রির বাজারে তার দোকান ছিল বলে সম্প্রতি ফাঁস হওয়া নথিতে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
[৩] ৫৭ বছর বয়সী ওই নারী উহানের হুনান মার্কেটে চিংড়ি বিক্রি করতেন। দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই নারীর নাম উই গুইশিয়ান। তিনি গত বছরের ১০ ডিসেম্বর অসুস্থ হয়ে পড়েন।
[৪] ঠান্ডাজনিত সমস্যা ভেবে প্রথমে তিনি স্থানীয় ক্লিনিকে গিয়ে হালকা চিকিৎসা নেন। এরপর আবারো চিংড়ি বিক্রি শুরু করেন। ওই সময়ই তার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।
[৫] চীনের সংবাদমাধ্যম দ্য পেপারের সাংবাদিককে ওই নারী জানান, আমি ক্লান্ত হয়ে পড়ছিলাম। আমি এর আগেও এরকম ক্লান্তি অনুভব করেছি।
[৬] তিনি আরো বলেন, প্রত্যেক শীতে আমি ফ্লুতে আক্রান্ত হই। সে কারণে আমি ভেবেছিলাম এটা সাধারণ ফ্লু।
[৭] আটদিনের মাথায় অবশ্য উই গুইশিয়ানকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। হাসপাতালে ভর্তির পর তার অবস্থা আরো খারাপের দিকে যায়।
[৮] তিনি এ ব্যাপারে বলেন, চিকিৎসকরা বুঝতে পারছিলেন না, আমার সঙ্গে কী ঘটেছে। একপর্যায়ে আমাকে কিছু ইনজেকশন লিখে দিয়ে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয়।
[৯] এরপর এই নারী আবারো হাসপাতালে যান এবং বাড়তি ইনজেকশন চান। তার দাবি, আমার শরীরে কোনো অ্যানার্জি ছিল না।
[১০] ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে তাকে উহান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ততদিনে হুনানের অনেকের শরীরেই তার মতো লক্ষণ দেখা দেওয়া শুরু হয়।
[১১] ডিসেম্বরের শেষের দিকে তাকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। ৩১ ডিসেম্বর যে ২৭ জনকে পরীক্ষা করে দেখা হয়, তাদের একজন ছিলেন উই গুইশিয়ান। যে ২৪ জনের হুনান মার্কেটের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল, তার মধ্যেও তিনি একজন।সূত্র : নিউজ ডটকমডটএইউ
