নূরুল হাসান খান[১]বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের মতো দেশগুলোতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত অধিকাংশের পরীক্ষাই হচ্ছেনা। ফলে আক্রান্তের সঠিক সংখ্যা কত তা জানা যাচ্ছেনা। বিষয়টি উল্লেখ করে সতর্ক বার্তা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
[২]তাদের বার্তার বলেছে, সমস্যা মোকাবেলায় প্রধান কাজ হচ্ছে, 'টেস্ট, টেস্ট টেস্ট'। ইউরোপ, অ্যামেরিকার মতো পশ্চিম বিশ্বে কার্যত মহামারির চেহারা নিয়েছে করোনা ভাইরাস। তার আগে চীনে মৃত্যু হয়েছে হাজার হাজার মানুষের। গোটা বিশ্ব কার্যত অবরুদ্ধ। ইটালি, জার্মানি, ফ্রান্স, অ্যামেরিকায় প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। সেই তুলনায় ভারতীয় উপমহাদেশ কিংবা আফ্রিকায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কম। এর কারণ কি. এসব জায়গায় করোনার প্রকোপ কম, না কি সাধারণ মানুষ করোনার লক্ষণ থাকা সত্ত্বেও হাসপাতালে যাচ্ছেন না? এটাই এখন সব চেয়ে বড় প্রশ্ন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবার্তাতেও সে প্রশ্নেরই ইঙ্গিত দিয়েছে।
[৩]নানাসূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে দেখাযায়, অপেক্ষাকৃত গরিব দেশগুলিতে সাধারণ মানুষ শরীর খারাপ হলেও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাচ্ছেন না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রতি ১০ লক্ষে চার হাজার ৮০০ জন মানুষ করোনার পরীক্ষা করাচ্ছেন। সেখানে ভারতে প্রতি ১০ লক্ষে করোনা পরীক্ষা করাতে যাচ্ছেন মাত্র তিন জন।বাংলাদেশে সংখ্যাটা আরো কম।
[৪]বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, অপেক্ষাকৃত গরিব দেশগুলিতে করোনার সংক্রমণ কতটা ঘটছে, এখনও তা স্পষ্ট করে বোঝাই যাচ্ছে না। প্রথম পর্বে চিকিৎসা হলে করোনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। কিন্তু তা চেপে রাখলে মৃত্যুর আশঙ্কা বাড়ে। ফলে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে মৃত্যুর হার হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। পাশাপাশি আরও একটি প্রশ্ন উঠছে। এ সমস্ত দেশের করোনা পরীক্ষা করার যথেষ্ট সার্মথ্য আছে তো?
সূত্র; রয়টার্স, ডিডব্লিউ।