জাগোনিউজ : [২] করোনার কারণে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে আকাশপথের যোগাযোগ সাময়িক বন্ধ থাকায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি দিন সেখানে অবস্থান করার ফলে অর্থ ফুরিয়ে যাওয়ায় তারা এখন মানবেতর দিন পার করছেন।
[৩] ১১টি ওমরাহ হজ এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি এয়ারলাইন্সে গত ১৬ থেকে ২৬ ফেব্রæয়ারির মধ্যে তারা সৌদি যান। ওমরা পালন শেষে গত ১৪ থেকে ২৪ মার্চের মধ্যে তাদের দেশে ফেরার কথা ছিলো। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সৌদি এয়ারলাইন্স (৫২ জন) ও কুয়েত এয়ারলাইন্স (১জন) যাত্রী পরিবহন বন্ধ করে দেয়ায় ওই ৫৩ জন দেশে ফিরতে পারছেন না। বর্তমানে তারা মক্কা, মদিনা, জেদ্দা ও রিয়াদে অবস্থান করছেন।
[৪] জানা যায়, ওমরাহ প্যাকেজ বাবদ নির্ধারিত অঙ্কের টাকা পরিশোধের পর সৌদি আরবে (মক্কা ও মদিনায়) নির্দিষ্ট সংখ্যক দিন অবস্থান করার মতো অর্থ নিয়ে সেখানে গেছেন সবাই। হঠাৎ ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের অনেকের কাছেই হোটেল ভাড়া, খাওয়া ও যাতায়াতের খরচ নেই।
[৫] তবে গত ২৪ মার্চ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব আবুল কাশেম মোহাম্মদ শাহিন স্বাক্ষরিত সৌদি এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে ২২ জন ওমরাহ যাত্রীর দেশে ফেরার ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত সৌদিতে থাকার জন্য হোটেল ও বিমান টিকিটের ব্যবস্থা করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। অনুলিখন : মাজহারুল ইসলাম
আপনার মতামত লিখুন :