শাহনেওয়াজ নাজিম, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: [২] ফটিকছড়ি উপজেলার খিরাম ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের ওপর হামলা, অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুর ও জাহাঙ্গীর নামের এক ব্যক্তির ওপর হামলার ঘটনায় এই পর্যন্ত ২৯জনকে আটক করেছে পুলিশ।
[৩] গতকাল সোমবার সকাল হতে রাত পর্যন্ত ফটিকছড়ি থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন ও এসআই সঞ্জয় কুমার সঙ্গিয় ফোর্স নিয়ে খিরামে সাড়াশি অভিযান চালিয়ে ১৯ জনকে আটক করে।
তন্মধ্যে যাচাই-বাছাই করে তিন মামলায় ৯জনকে কোর্টে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে এবং পরদিন সকালে খিরামে সাড়াশি অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে আটক করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।
[৪] বুধবার (১৮ মার্চ) রাতে খিরামে দুর্বৃত্তরা ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাবকে গুলি ও বেধড়ক মারধর করে। এঘটনায় চেয়ারম্যানের পক্ষে তার ভাই মুহাম্মদ মামুন হোসেন বাদি হয়ে সুনির্দিষ্ট ১৩ জনকে আসামী করে ফটিকছড়ি থানায় মামলা দায়ের করেন।
চেয়ারম্যানের ওপর হামলার জেরে ওই রাতে উত্তেজিত জনতা ৮ বসত ঘর, ১টি সিএনজি ও ৫টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শহিদুল আলম বাদি হয়ে ২৩জনকে সুনির্দিষ্ট করে ও ২০/৩০জনকে অজ্ঞাত আসামী করে ফটিকছড়ি থানায় মামলা দায়ের করেন।
[৫] ১৭ মার্চ রাত ৯টায় খিরাম ইউপি কার্যালয়ে ঢুকে জাহাঙ্গীর (৫০) নামের এক জনকে পিটিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এঘটনায় জাহাঙ্গীর বাদি হয়ে ৮জনকে সুনির্দিষ্ট করে ৯/১০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে ফটিকছড়ি থানায় মামলা দায়ের করেন।
এই তিন মামলায় মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট ২৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
[৬] এছাড়াও সহিংসতার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুল্লার স্ত্রী শাহীন বাদী হয়ে ২১জনকে নির্দিষ্ট করে ১৫০/২০০ জন অজ্ঞাত আসামি করে ফটিকছড়ি থানায় মামলা দায়ের করেন।
[৭] এদিকে খিরামে এখন পরিস্থিতি শান্ত হলেও আতঙ্কে আছে সাধারণ মানুষ। গ্রেফতার আতঙ্কে খিরামের অধিকাংশ দোকান বন্ধ রেখেছে ব্যবসায়ীরা। ধীরে ধীরে পুরুষ শূন্য হয়ে পড়ছে খিরাম এলাকা। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ