রাজু চৌধুরী :[২] চসিক নির্বাচনী প্রচারণায় চট্টগ্রাম মহানগরীর দক্ষিণ কাট্টলি এলাকার চাঞ্চল্যকর আনোয়ার জাহিদ তানভীর হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি নেছার উদ্দীনকে ফেনী জেলার সদর থানাধীন আফতাব বিবিরহাট এলাকা থেকে শুক্রবার ২০ মার্চ ২০২০ ইং র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি চৌকস আভিযানিক দল আটক করে।
[৩] গত ১৮ মার্চ ২০২০ রাত আনুমানিক ২২৩০ ঘটিকায় চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী থানাধীন দক্ষিণ কাট্টলী এলাকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিঘাতে মোঃ আনোয়ার জাহিদ তানভীর (৩৫) নিহত হয়। পরবর্তীতে নিহতের ভাই গত ১৯ মার্চ ২০২০ ইং তারিখ চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী থানায় ২১ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় সিএমপি পাহাড়তলী থানা পুলিশ মোঃ জনি ও মোঃ সোহেল নামে দুইজনকে গ্রেফতার করে।
[৩] র্যাব-৭ জানায়, হত্যাকান্ডের পর থেকেই র্যাব এই ঘটনার ছায়া তদন্ত এবং পলাতক আসামীদের উপর গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। গোয়েন্দা নজরদারির এক পর্যায়ে র্যাব-৭ গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মোঃ আনোয়ার জাহিদ তানভীর এর হত্যা মামলার ২ নং আসামী মোঃ নেছার উদ্দীন (৪০)কে, ফেনী জেলার ফেনী সদর থানাধীন আফতাব বিবিরহাট এলাকা থেকে আটক করে। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী নেছার উদ্দীন স্বীকার করে যে, ঘটনার দিন আসামীর সাথে ভিকটিমের কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে আসামী মোঃ নেছার উদ্দীন ভিকটিম মোঃ আনোয়ার জাহিদ তানভীর’কে পেটে দুই বার ছুরিকাঘাত করে এবং এসময় আসামীর সাথে আরো ৫০-৬০ জন লোক ছিল। এরপর আসামী ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায় এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছোরাটি রাস্তার পাশে ফেলে যায়। আসামী নেছার আরও জানায় যে, ঘটনার আনুমানিক ২ মাস পূর্বে লোহার পুল এলাকার জনৈক রুবেলের কাছ থেকে ৩৫০ টাকা দিয়ে ছোরাটি ক্রয় করে এবং সেটি সবসময় সাথে বহন করত। আসামী নেছার এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী থানায় আরো দুইটি মামলা রয়েছে। এ বিষয়ে র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ মশিউর রহমান জুয়েল, পিএসসি বলেন, নির্বাচন কেন্দ্রীক সহিংসতা প্রতিরোধে র্যাব-৭ যথোপযুক্ত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন করবে এবং দোষী ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিএমপি পাহাড়তলী থানায় হস্তান্তর হয়।