নিউজ ডেস্ক : [২] করোনার কারণে কোনো রকম সমঝোতা ছাড়া আকস্মিক সিদ্ধান্তে তৈরি পোশাকের কার্যাদেশ বাতিল করছেন ক্রেতারা। এ অবস্থায় ব্যবসায়িক নৈতিকতার জায়গা থেকে ক্রেতাদের পাশে থাকার আহ্বান শিল্প মালিকদের। যেন বন্ধ না হয়ে যায় উৎপাদন।
নিয়ন্ত্রণহীন করোনা ভাইরাসের কারণে টালমাটাল জনস্বাস্থ্য ও বিশ্ব অর্থনীতি। বিপর্যস্ত বাংলাদেশের পোশাক খাত। পোশাক শিল্প মালিকদদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ বলছে, ঘণ্টায় ঘণ্টায় বদলাচ্ছে ক্রেতাদের সিদ্ধান্ত। ১২ ঘণ্টায় আকস্মিকভাবে ৯৪ কারখানার ১০৩ মিলিয়ন ডলারের কার্যাদেশ বাতিল ও স্থগিত করেছে ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো।
[৩] বিকেএমই-এর প্রথম সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম আলী বলেন, করোনার প্রভাবে মারাত্মক প্রভাব পড়েছে গার্মেন্ট শিল্পে। সামনে হয়তো আমরা সঙ্কটের মুখে পড়ার আভাস পাচ্ছি।
[৪] বিজিএমই-এর সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, আমরা এখনো ১০৩-৪ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে আছি। কিন্তু প্রতিনিয়ত এটা বদলে যাচ্ছে। আমরা কোনোমতে ফ্যাক্টরি বন্ধ করার পক্ষে না। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশে বাজার থাকবে। কাজেই আমাদেরও একটু শক্ত অবস্থানে যেতে হবে। সেই সঙ্গে একটু হিসাব রাখতে হবে। কোন ক্রেতা কেমন ক্যানসেল করছে। তারাই সব সময় আমাদের মার্ক দেবে। আমরাও তাদের মার্ক দেব।
অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, করোনার প্রভাবে যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠান সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে; সেটার দিক বিবেচনা রেখে তাদের সুযোগ-সুবিধা দেখে সরকারকে সাহায্য দিতে হবে। পরিবর্তীত বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট মাথায় রেখে শিল্প মালিকদের সতর্কতার সঙ্গে করণীয় ঠিক করার ওপর জোর দিচ্ছেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা। সময় টিভি
আপনার মতামত লিখুন :