মো: সাগর আকন, বরগুনা : [২] করোনা ভাইরাস সন্দেহে বরগুনা জেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে একজনকে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি সম্প্রতি ভারত থেকে এসেছেন। এছাড়াও বরগুনা জেলায় বিদেশ ফেরত ২৭ জনকে হোমকোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
[৩] বুধবার (১৮ মার্চ) বিকেল ৫ টার দিকে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জরুরী কন্ট্রোল রুম থেকে জানাগেছে, বরগুনায় ৩৮ জন বিদেশ ফেরত ব্যাক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশন ইউনিটে নেওয়া হয়েছিলো। এর মধ্যে ১০ জন ১৪ দিন অতিক্রম করেছে বাকি ২৮ জনের মধ্যে ২৭ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে। ১ জন বরগুনা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে রয়েছে।
[৪] বরগুনার সদর উপজেলায় ৪ জন, আইসোলেশন ১ জন। বামনা উপজেলায় ৮জন। পাথরঘাটা উপজেলায় ৬ জন। বেতাগী উপজেলায় ১৬ জন। আমতলী উপজেলায় ২ জন এবং তালতলী উপজেলায় ১ জন আছেন। তাদের মধ্য থেকে পাথরঘাটায় ২ জন ও বেতাগীতে ৮ জনের হোম কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ হয়েছে।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তক্তাবধায়ক ডা. সোহরাব উদ্দীন বলেন, ভারত থেকে আসা এক নাগরিক সাধারন জ¦র ও কাশি নিয়ে আসলে আমরা তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখেছি। তবে প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে মনে হয়েছে ভয়ের কোন কারণ নেই। তারপর বিষয়টি রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইসিডিআর
কে জানানো হয়েছে।
বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. হুমায়ূন শাহীন খান জানান, প্রতিদিন সকাল ৮ টায় আমরা রিপোর্ট পাঠিয়ে দেই। ৮ টার পর যদি কেহ আসে তাহলে পরের দিন তার নাম রিপোর্টে তোলা হয়। তাছাড়া মাঠ পর্যায়ে মানুষ যাতে আতঙ্কিত না হয় তার জন্য জেলা, উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে কর্মীদের মাঠে সচেতনতা মূলক কাজ করতে বলা হয়েছে। করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে আমরা প্রস্তুত। এছাড়াও তিনি আরো বলেন, "হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা এসব ব্যক্তিদের নিয়মিত স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন খোঁজ খবর নিচ্ছেন এবং তারা হোম কোয়ারেন্টাইনের নিয়মাবলী সঠিকভাবে পালন করছেন কিনা সে বিষয়গুলোও লক্ষ্য রাখছেন।