[২] মনিরুল ইসলাম: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, আমি ঢাকায় থাকলেই প্রতিদিন সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যেতাম। বঙ্গবন্ধু বাসায় ফিরতেন রাত ৮ টায়। আমি যেতাম সাড়ে ৮টায়। কারণে অকারণে তাঁর সাথে দেখা করতাম।
[৩] আমু এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপে বলেন, আমি তখন বরিশালের গভর্নর । ’৭৫ এর আগস্টে ঢাকায় গভর্নরদের ট্রেনিং চলছিল। নবাবপুরে খালার বাসায় থেকে ট্রেনিংয়ে অংশ নেই। প্রতি রাতেই বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা করি। ১৩ আগস্ট রাতে সর্বশেষ দেখা হয়েছিল। ১৪ আগস্ট দু’টি সংবর্ধনা অনেক রাত পর্যন্ত চলায় বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে যাওয়া হয় নি।
[৪] আমির হোসেন আমু বলেন, ১৫ আগস্ট ভোরে খালা আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে বলেন, রেডিও শোনো। রেডিওতে ডালিম সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার কথা বলছে। শুনে আমি খালাকে বললাম বাজে কথা। এটা হতে পারে না।
[৫] তিনি বলেন,এরপর আমি খবরটি যাচাই করতে বঙ্গবন্ধু, শেখ মণি ও সেরনিয়াবাতের বাসায় ফোন করি। কেউ ধরে না। তখন একটু ঘাবড়ে গিয়ে বারান্দায় বের হই। দু’জন কর্মী নিচ থেকে বলেন, লিডার বঙ্গবন্ধু বেঁচে নেই। ওদের সাথে বেরিয়ে পড়ি। রাস্তায় কোনো মানুষ ছিল না। আগামসিহ লেনে গিয়ে দেখি, আর্মি আর আর্মি। এই লেনেই খুনী মোশতাকের বাড়ি। সম্পাদনা: হাসান হাফিজ