আমাদের সময় : [২] বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পাঁচ বিদেশি অতিথি ভিডিওবার্তা পাঠিয়েছেন। ভিডিওবার্তায় তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতির মুক্তির জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। দমনকারী ও নিপীড়ক সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে জাতির মুক্তি দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর জীবন বিশ্বের জন্য মহান বার্তা। ভিডিওবার্তা প্রেরণকারীরা হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারি, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) মহাসচিব ড. ইউসুফ বিন আহমেদ আল-ওথাইমান।
[৩] ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতীয়দের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আমরা সবাই ভালো করে জানি, কীভাবে একটি নিপীড়ক ও দমনকারী সরকার সব ধরনের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ উপেক্ষা করে ‘বাংলা ভূমির’ ওপর অবিচারের রাজত্ব চালিয়ে জনগণের সর্বনাশ করেছিল। সে সময় যে ধ্বংসলীলা ও গণহত্যা হয়েছিল, সেই অবস্থা থেকে বাংলাদেশকে বের করে এনে একটি ইতিবাচক ও প্রগতিশীল সমাজে পরিণত করার জন্য তিনি তার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত উৎসর্গ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর জীবন একবিংশ শতাব্দীর বিশ্বের জন্য এক মহান বার্তা। আমাকে ব্যক্তিগতভাবে এ ঐতিহাসিক সমারোহে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাসজনিত কারণে আমার পক্ষে অংশগ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।
[৪] মোদি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গত শতাব্দীর মহান ব্যক্তিত্বদের অন্যতম। তার সমগ্র জীবন আমাদের সবার জন্য অনেক বড় প্রেরণা। বঙ্গবন্ধু মানে একজন সাহসী নেতা, একজন দৃঢ়চেতা মানুষ, একজন ঋষিতুল্য শান্তিদূত, একজন ন্যায়, সাম্য ও মর্যাদার রক্ষাকর্তা, একজন পাশবিকতাবিরোধী এবং যে কোনো জোরজুলুমের বিরুদ্ধে একজন ঢাল। তিনি বলেন, তার এ গুণ সে সময় লাখ লাখ তরুণকে বাংলাদেশের মুক্তির জন্য সব প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে নতুন শক্তি দিয়েছিল। আজ আমার খুব ভালো লাগে, যখন দেখি যে বাংলাদেশের মানুষ তাদের প্রিয় দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলায়’ রূপান্তরিত করার জন্য দিন-রাত কাজ করে চলেছেন।
[৫] ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং টেলিফোনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করেন এবং ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপন উপলক্ষে তাকে এবং বাংলাদেশের জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ভুটানের জনগণ এক হাজার ‘ঘি’ প্রদীপ জ্বালিয়ে তার বিদেহী আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করেছেন।
[৬] এ ছাড়া ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিকালে প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেন এবং জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশের জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ তথ্য জানান।