লাইলাক শহীদ: ঠিক ১৫ দিনের মাথায় সম্প্রতি সিঙ্গাপুর এয়ার লাইন্সে আবার ফিরে এলাম ব্রিসবেন থেকে বাংলাদেশে। সোশ্যাল মিডিয়া এবং বিভিন্নভাবে যে খবর পাচ্ছিলাম তাতে অনেক ভয় কাজ করছিলো। বিশেষ করে ইতালিফেরতদের অসভ্য কথাবার্তা আর চিৎকারের ভাইরাল ভিডিও দেখে এবার বেশ ভয় পাচ্ছিলাম। তারপর ছিলো সংশয় আসলে কি বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব হবে এয়ারপোর্টে ‘করোনা’ স্ক্যানিং করা? একজন সমাজ সচেতন সাংস্কৃতিক কর্মীর খুবই যুক্তি সঙ্গত পোস্ট আরও ভয় পাইয়ে দিয়েছিলো। তিনি লিখেছিলেন, ‘১৪২ এসে গেছে আবার সকালে আসছে ১৫৫ জন । এবার আর প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে মনে হয় না। সর্বনাশ করেই ছাড়লো’। না আপাতত তা মনে হচ্ছে না। চমৎকার সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ।
যা সিংগাপুর কিংবা অস্ট্রেলিয়ার চাইতেও অনেক ভালো। সিংগাপুরে প্লেন বদলের সময় প্রতিটি যাত্রীকে দেওয়া হলো বাংলাদেশ সরকারের হেলথ ডিক্লারেশন ফরম। প্লেন থেকে নামার পর ঢাকায় একদল অফিসার খুবই শক্তভাবে সিঙ্গেল লাইন করিয়ে দিলো। কোনো ছাড় নেই। বরাবর সারাজীবন দেখে এসেছি হুমড়ি খেয়ে পড়ার অভ্যাস। এবার তার ব্যতিক্রম। এরপর বলা হলো যাদের ফরম পূরণ করা আছে তারাই শুধু অ্যারাইভাল হলে যেতে পারবে। নিচে নেমে তো এলাহী ব্যাপার। এতো সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা ঢাকা এয়ারপোর্টে বিস্ময়কর। প্রথমে থার্মাল স্ক্যানার এরপর সন্দেহ হলে হ্যান্ড হেল্ড ডিজিটাল থার্মোমিটার। এরপর সারিবদ্ধ প্রায় দশজন স্বাস্থ্য কর্মী এবং ডাক্তারের টেবিল হয়ে নিবন্ধন করে স্বাস্থ্য সার্টিফিকেট স্লিপ নিয়ে ইমিগ্রেশনে যাওয়া। ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ নেই। সার্টিফিকেট পাওয়া প্রত্যেককেই দেওয়া হচ্ছে একটি করে ইনফরমেশন কার্ড। সমগ্র প্রক্রিয়াটি করতে আমার সময় লেগেছে চার-পাঁচ মিনিট। ইমিগ্রেশন অফিসার আরও অবাক করেছেন, তিনি প্রতিটি যাত্রীর পাসপোর্ট এবং কাগজপত্র হস্তান্তরের পর হ্যান্ড সেনিটাইজার ব্যবহার করছেন। ফেসবুক থেকে