অপূর্ব চৌধুরী, জবি প্রতিনিধি : [২] টাকা না দিলে বিভাগীয় চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর মিলে না জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে । যেকোনো স্বাক্ষর নিতে বিভাগের একাউন্টে শিক্ষার্থীদের দিতে হয় একশ থেকে তিনশ টাকা পর্যন্ত। রশিদ কেটে টাকা নেয়ার এই প্রক্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মের পরিপন্থী হলেও নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে এটি।
[৩]অনুসন্ধানে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা চেয়ারম্যান ড. আতিয়ার রহমানের কাছ থেকে যে কোন বিষয়ে স্বাক্ষর নিতে গেলে একশ থেকে তিনশ টাকা বিভাগের একাউন্টে জমা দিতে হয়। এবিষয়ে শিক্ষার্থীরা বিভাগীয় চেয়ারম্যানের ভয়ে ইতোপূর্বে মুখ খুলেননি । গত রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী শামিম মাহমুদ বিভাগে ভিত্তির দরখাস্তে বিভাগীয় চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরের জন্য গেলে তাকে একশ টাকা বিভাগের একাউন্টে জমা দিতে বলা হয়। ব্যাংকে টাকা জমার রশিদ দেখালে বিভাগীয় চেয়ারম্যান তার দরখাস্তে স্বাক্ষর করেন।
[৪] সোমবার ২০১৩-১৪ সেশনের আরেক শিক্ষার্থী আবু তৈয়ব সার্টিফিকেট সংশোধনের আবেদনপত্রে বিভাগের চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরের জন্য গেলে তাকে তিনশ টাকার ব্যাংক রশিদ ধরিয়ে দেয়া হয়।
[৫] উক্ত সংবাদ পেয়ে সাংবাদিকরা বিভাগীয় চেয়ারম্যানের কাছে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে সাংবাদিকদের সাথে রূঢ় আচরণ করেন। এসময় তিনি বলেন, আমি তোমাদের কাছে জবাব দিতে বাধ্য নই। সাংবাদিক হলেই তোমাদের সব বলতে হবে না। আমার রুম থেকে বের হয়ে যাও। আমি এই কাগজে স্বাক্ষর করব না। টাকা দিলেও করব না, না দিলেও করব না। কোন খাতে এই টাকা নেয়া হয় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ডোন্ট আরগু উইথ মি, গেট আউট অফ মাই রুম’। এরপর বিভাগ থেকে ওই শিক্ষার্থী (আবু তৈয়ব) বের হয়ে আসার পর, বিভাগের ২০০৯-১০ সেশনের সাবেক শিক্ষার্থী সালমান তাকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছাড়া করার হুমকি দেন।
[৬] এই ব্যাপারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, এভাবে টাকা নেয়ার কার্যক্রম আগে কখনো ঘটেনি। এবিষয়ে আমি বিভাগের চেয়ারম্যানকে ডেকে এনে জিজ্ঞেস করবো এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবো। এভাবে টাকা নেয়ার প্রক্রিয়া এবারই প্রথম দেখলাম। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ