শিরোনাম
◈ এলডিসি থেকে উত্তরণ: আরও তিন বছরের সময় চাইছে বাংলাদেশ ◈ জাপানে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেসব সিদ্ধান্ত নিল অন্তর্বর্তী সরকার ◈ ১৭ বিয়ের ঘটনায় মামলা, সেই বন কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কু.পিয়ে হ.ত্যা ◈ বাংলা‌দেশ হারা‌লো আফগানিস্তানকে, তা‌কি‌য়ে রই‌লো শ্রীলঙ্কার দিকে  ◈ রোজার আগে নির্বাচন দিয়ে পুরোনো কাজে ফিরবেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ ঋণের চাপে আত্মহত্যা, ঋণ করেই চল্লিশা : যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ◈ একযোগে এনবিআরের ৫৫৫ কর্মকর্তাকে বদলি ◈ আবারও রেকর্ড গড়ল স্বর্ণের দাম, ভরিতে বেড়েছে ৩ হাজার ৬৭৫ টাকা ◈ ভারতের নেপাল নীতিতে 'রিসেট বাটন' চাপলেন মোদি, শিক্ষা বাংলাদেশের কাছ থেকে

প্রকাশিত : ১৬ মার্চ, ২০২০, ০৭:৩৫ সকাল
আপডেট : ১৬ মার্চ, ২০২০, ০৭:৩৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] বরগুনায় করোনা ভাইরাস আতংকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে

জিয়া উদ্দিন সিদ্দিকী, আমতলী প্রতিনিধি : [২] দেশে করোনা ভাইরাস রোগী শনাক্ত হওয়ায় ও ভাইরাস আতংকে বরগুনা জেলার আমতলী-তালতলী উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে দু’উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। আর যেসব শিক্ষার্থী কøাশ করছেন তারা আছেন আতংকের মধ্যে।

[৩] জানাগেছে, গত সপ্তাহে বাংলাদেশ বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস রোগী শনাক্ত হওয়ার খবরে হঠাৎ করে আমতলী ও তালতলী উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে। ভাইরাস সংক্রমনের ভয়ে অনেক শিক্ষার্থীরা বাসা থেকেই বের হচ্ছেন না। যৎসামান্য শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে গেলেও তারা মুখে মাস্ক পরে যাচ্ছেন। যারা বিদ্যালয়ে উপস্থিত হচ্ছেন তারা আতংকের মধ্যে ক্লাশ করছেন। এ কারনে দিন দিন বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কমে যাচ্ছে। এছাড়া দু’ উপজেলার ৬টি কলেজেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমতে শুরু করেছে বলে জানাগেছে।

[৪] চুনাখালী ও ঘটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদ্বয় বলেন, করোনা ভাইরাস আতংকে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে বিদ্যালয়ে উপস্থিতি কমে গেছে। যৎসামান্য শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলেও তারা মাস্ক পরে আতংকের মধ্যে ক্লাশ করছেন।

[৫] তক্তাবুনিয়া রহিমিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী মোঃ হাসান, খাদিজা বেগম বলেন, দেশে করোনা ভাইরাস আতংকে আমাদের মাদ্রাসায় ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতি কমে গেছে। তালতলী সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হৃদয়, তুহিন, জেসিকা ও মেরিনা বলেন, আমরা আতংকের মধ্যে ক্লাশ করতেছি। আমতলী সরকারি একে হাই স্কুলের শিক্ষার্থী শান্ত, সিয়াম ও নাদিয়া বলেন, করোনা ভাইরাসের ভয়ে আমরা স্কুলে যাচ্ছিনা।

[৬] তালতলী সরকারী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) পরিমল চন্দ্র সরকার মুঠোফোনে বলেন, করোনা ভাইরাস আতংকে বিদ্যালয়ে উপস্থিতি কিছুটা কমে গেছে। আমতলী সরকারি একে হাই স্কুলের বিএসসি শিক্ষক নিয়াজ মোর্শ্বেদ মুঠোফোনে জানান, করোনা ভাইরাসের কারনে বিদ্যালয়ে এগার শত পঞ্চাশ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে চার শত বিশ থেকে চার শত ত্রিশ জন উপস্থিত হচ্ছেন। এর মধ্যে অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা মুখে মাস্ক পড়ে আসেন।

[৭] আমতলী মফিজ উদ্দিন বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহআলম কবির বলেন, আমার বিদ্যালয়ে ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী। প্রতিদিন গড়ে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে উপস্থিত হত। করোনা ভাইরাস আতংকে হঠাৎ করে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে। এখন প্রতিদিন দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর বেশী বিদ্যালয়ে আসে না। ভাইরাস সংক্রমনের ভয়ে দিন দিন শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়