রকি আহমেদ, জবি প্রতিনিধি : [২] করোনা আতঙ্ক সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়ায় বিভিন্ন বিভাগের ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরাণ ঢাকার জনবহুল এলাকায় অবস্থিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রোববার (১৫ মার্চ) দুপুর ৩টায় শিক্ষার্থীরা এই ঘোষণা দেয়।
[৩] করোনার প্রাদুর্ভাবের পূর্ব সচেতনতা হিসেবে ও স্বাভাবিক অবস্থায় না আসা পর্যন্ত এই ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলে জানান তারা।
[৪] এর আগে, শনিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকতা বিভাগের ১৩ ব্যাচ ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করার পর একে একে গণিত, পদার্থ, বোটানি, সমাজকর্ম, সমাজবিজ্ঞান, দর্শন, ইসলামের ইতিহাস, আইএমএল, সিএসসি সহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়।
[৫] অন্যদিক রোবাবর বেলা ২টায় সকল বিভাগের ১৬০ জন ক্লাস ক্যাপ্টেনের ১২৫ জন ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়। সেখানে দীর্ঘ এক ঘণ্টা আলোচনার পর তারা এই ঘোষণা দেয়। এছাড়া বাকি ক্যাপ্টেনরা আলোচনা সভায় আসতে না পারলেও সম্মতি জ্ঞাপন করে এবং খুব শিঘ্রই ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিবেন বলে জানিয়েছে তারা।
[৬] এসময় আলোচনা সভায় শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্বব্যাপী করোনা আতঙ্কে ভুগলেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না। বাড়ি থেকে আমাদের পরিবার চিন্তিত। বারবার ফোন দিয়ে বাড়ি চলে যাওয়ার জন্য তাগিদ দিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোন সদুত্তর না পেয়ে আমরা নিজেরাই ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।
[৭] বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের বিষয়ে অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, করোনা ভাইরাসে ন্যাশনাল মডারেটিং টিম পুরো জাতির জন্য যে সিদ্ধান্ত নিবে আমাদের জন্যও তাই হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, শুধু বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা মন্ত্রনালয় নয়, বন্ধ ঘোষণা করা হলে ধর্ম মন্ত্রনালয়, বাণিজ্য মন্ত্রনালয়সহ সকল মন্ত্রনালয় বন্ধ ঘোষণা করতে হবে। কারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে মসজিদ, মন্দির, বাজার খোলা রাখলে এর প্রকোপ কমবে না। তাই সরকারিভাবে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সেটা আমরাও গ্রহণ করব।
আপনার মতামত লিখুন :