আবুল বাশার নূরু: [২] পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রবাসীরা দেশে ফিরে কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার বিষয়ে খুব অসন্তুষ্ট হন। ফাইভ স্টার হোটেল না হলে তারা অপছন্দ করেন।
[৩] তিনি বলেন, আমাদের তো দৈন্য আছে। এটা তো একটা বিশেষ অবস্থা। আমরা যাদের নিয়ে আসি, তাদের হজ ক্যাম্পে রাখি, এখন আরও কয়েকটা হাসপাতালও জোগাড় করেছি। শনিবার ইতালিফেরত প্রবাসীদের হজ ক্যাম্পে কোয়ারেন্টিনে রাখা হলে তারা বিক্ষোভ করেন। দেশে এসে সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে যাবেন। বাংলাদেশে ফ্ল্যাট বাথরুম, তারা কমোড বাথরুম ইউজ করেন, সুতরাং তাদের অসুবিধা হয়েছে। আমরা সেখানে পর্যটন থেকে খাবার দিয়েছি, তারা মনে করেন সোনারগাঁও, ফাইভ স্টার থেকে খাওয়ার দেওয়া উচিত। সেটা দিতে পারিনি। সে জন্য তারা অসন্তুষ্ট হয়েছেন।
[৪] পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকারের মূল উদ্দেশ্য জনগণকে রক্ষা করা। কয়েকজনের কারণে সাড়ে ১৬ কোটি মানুষ অসুস্থ হোক সরকার তা চায় না। কারণ, বিভিন্ন ধরনের দুর্বলতা আছে। সরকার আগে আবেদন করেছিল, যাতে যারা প্রবাসে আছেন, তারা আরও কিছুদিন সেখানে থাকেন। কিন্তু তারা সেটা শোনেননি। সে জন্য বাধ্য হয়ে ফ্লাইট বন্ধ করা হয়েছে।
[৫] তিনি বলেন, স্কুল–কলেজ হিড়িকের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হলে একটা আতঙ্ক সৃষ্টি হবে। করোনাভাইরাসে যারা আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১ থেকে ৪০ বছর পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় শূন্য। কিন্তু মিডিয়ার কারণে অনেকে মনে করছেন, বাচ্চারা হয়তো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবে। কিন্তু একটাও ছাত্রছাত্রী আক্রান্ত হয়নি। শিক্ষার্থীদের কেউ অসুস্থ হলে সমস্যা হতো। তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইংল্যান্ড স্কুল বন্ধ করেনি। পশ্চিমবঙ্গ করেছে, সেটা অন্য কারণেও হতে পারে। শিক্ষার্থীরা স্কুলে থাকলেই বরং ভালো। স্কুলে হাত ধুতে হয়, কীভাবে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন থাকা যায়, করোনাভাইরাস প্রতিরোধের উপায় শিখছে। বাড়িতে গেলে তারা ঘুমাবে এবং খারাপ কাজ হবে।
[৬] রোববার রাজধানীতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে (বিআইআইএসএস) এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আপনার মতামত লিখুন :