এস.ইসলাম জয় : [২] বর্তমান সময়ে ই-কমার্সের গুরুত্ব বেড়েছে। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে এ খাতের যথেষ্ঠ উন্নতি হয়েছে। তবে তা অনেকটাই শহরকেন্দ্রিক। যেখানে দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৭০ ভাগ গ্রামে বাস করে। প্রয়োজনীয় উন্নত পণ্য ও সেবা গ্রাম পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে ই-কমার্স খাত পিছিয়ে রয়েছে।
[৩] সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৬ হাজার ‘ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের ’মাধ্যমে গ্রাম থেকে গ্রামে,গ্রাম থেকে শহরে পণ্য বেচানোর জন্য কাজ করছে ই-কমার্স সাইট ‘এক শপ’। এটি বাস্তয়নে বাংলাদেশ সরকার ও ইউএনডিপি’র অর্থায়নে কাজ করছে আইসিটি বিভাগের ‘এ টু আই প্রকল্প’।
[৪] সূত্র জানায়,প্রান্তিক পর্যায়ে ৩ হাজার ৬’শ ব্যবসায়ী এ প্লাটফর্মে ব্যবসা করছে। ‘ এক শপ’ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পণ্য সরাসরি পৌছে দেয় ক্রেতার হাতে। এত করে ক্রেতা ও বিক্রেতা ন্যায্যতার ভিত্তিতে তাদের পণ্য কেনা বেচা করতে পারে। এখানে উভয়ের প্রতারিত হওয়ার সুযোগ থাকে না। প্রত্যাশিত পণ্যটিই তারা পেয়ে থাকে।
[৫] দেশজ উঠপাদনের পুরোটাই গ্রাম কেন্দ্রিক। কিন্তু বিপণন হচ্ছে দেশব্যাপী। শিক্ষার অনগ্রসরতা, ইন্টারনেট ব্যবহারের পশ্চাদপরতা ও ডিজিটাল আর্থিক লেনদেন এবং লজিস্টিক ব্যবস্থার দুর্বলতা ই-কমার্সের কাংখিত লক্ষ্যে পৌঁছানো অন্তরায়। ই-কমার্সের সঠিক প্রসারের মাধ্যমে সহজেই তা করা সম্ভব বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
[৬] ‘এক শপ’ এর মাধ্যমে সারাদেশের যেকোন ইউনিয়নে বসেই একদিকে যেমন যেকোন পণ্য বা সেবা অর্ডার করা যাচ্ছে, তেমনি যেকোনো ক্ষুদ্র উৎপাদক বা উদ্যোক্তা তাঁর পণ্য সারা দেশে পাঠাতে পারছেন।
[৭] দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল অর্ন্তভূক্তির জন্য কাজ করছে সরকার। লক্ষ্য প্রান্তিক ইকোনমি ডেভলপ করা।
আপনার মতামত লিখুন :