সালেহ্ বিপ্লব: [২] ইনোভিও সর্বপ্রথম এই ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ শুরু করে। ২০১৪ সালের ইবোলা ভাইরাস ও ২০১৬ সালে জিকা ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে কোম্পানিটি সাহায্য করেছিলো। বায়োস্পেস ডটকম, বিজনেস ওয়্যার, ফিন্যান্স ইয়াহু ডটকম
[৩] কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জে জোসেফ কিম বলেছেন, ‘আমরা খুব শিগগিরই এই ভ্যাকসিনের প্রি-ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা চালাবো এবং অল্প পরিসরে উৎপাদনও করবো।
[৪] মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য প্রথম যুক্তরাষ্ট্রকেই বেছে নিয়েছে ইনোভিও ফার্মাসিউট্যিালস। এরপর পরীক্ষা চলবে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ায়।
[৫] কোম্পানিটি আশা করছে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ তারা ভ্যাকসিনের ১০ লাখ ডোজ সরবরাহ করতে পারবে।
[৬] করোনার ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে কাজ করে যাচ্ছে আরেকটি মার্কিন কোম্পানি মডার্না। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এই প্রতিষ্ঠানটি পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিনের (এমআরএনএ-১২৭৩) প্রথম ব্যাচটি সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের এনআইএআইডি’র (ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব অ্যালার্জি এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস) কাছে।
[৭] খবর অনুযায়ী, সিয়াটলের একটি গবেষণাগারে ওই ভ্যাকসিন পরীক্ষার কাজ শুরু হচ্ছে। ওষুধ প্রয়োগের জন্য স্বাস্থ্যবান স্বেচ্ছাসেবক খোঁজা হচ্ছে। সুস্বাস্থের অধিকারী এই পরীক্ষায় ৪৫ জন প্রাপ্তবয়স্ক অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।
[৮] ইনোভিও এবং মডার্না করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক উদ্ভাবনে অগ্রগতির খবর দিলেও এই সেক্টরের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যতো দ্রুততার সঙ্গে করা হোক না কেনো, কমপক্ষে এক বছর লাগবে।
[৯] এনআইএআইডি’র পরিচালক অ্যান্থনি ফসি বলেছেন, মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ সফল হওয়ার পরও অনেক কাজ বাকি। নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে আরো বেশ কয়েকটি ধাপ পার হতে হবে। আর তাতে করে ১৮ মাসও লেগে যেতে পারে।
[১০] ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে কাজ করে যাচ্ছে জনসন এন্ড জনসন, সানোফি এবং আরও কয়েকটি কোম্পানি। তারাও এ বছরের জুনের মধ্যেই পরীক্ষামূলক প্রয়োগের কাজ শুরু করতে পারবে বলে আশাবাদী।