মাজহারুল ইসলাম : [২] শুরুর দিকে আমদানি কমে গেলেও এবার রপ্তানি কমতে শুরু করায় সমস্যা দ্বিগুণ হচ্ছে। এতে বিশ্ব অর্থনীতির পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও সংকট তৈরি হতে পারে। ইত্তেফাক
[৩] কারণ বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় কমছে ভোগ ব্যয়। মানুষের চলাচল সীমিত হওয়ায় ইউরোপের অনেক দেশে বিক্রি কমে গেছে। অনেক শহরে গার্মেন্টস পণ্যের স্টোর সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে দেশের রপ্তানিতে। ইতোমধ্যে ক্রয় আদেশ দেয়া বেশকিছু চালান আপাতত না পাঠানোর অনুরোধ করেছেন ক্রেতারা। আবার কেউ কেউ পুরো ক্রয়াদেশের পণ্য এখনই না পাঠানো কিংবা পোশাক বানানোর প্রক্রিয়া আপাতত বন্ধ রাখার (ফেব্রিক না কাটা) অনুরোধ জানিয়েছেন।
[৪] বিজিএমইএর সভাপতি ড. রুবানা হক গণমাধ্যমকে বলেন, অন্তত ২০ ক্রেতা এমন সিদ্ধান্ত রপ্তানিকারকদের অবহিত করেছেন। এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে রপ্তানিকারকদের জন্য বড়ো ধরনের তারল্য সংকটের আশঙ্কা রয়েছে।
[৫] অর্থনীতিবিদরা বলছেন, করোনা ভাইরাসের শুরুর দিকে আমদানি কমে গেলেও এবার রপ্তানি কমতে শুরু করায় সমস্যা দ্বিগুণ হচ্ছে। এরফলে রাজস্ব আয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
[৬] নারায়ণগঞ্জের এমবি ফ্যাশনের মালিক ও বিকেএমইএর সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম গণমাধ্যমকে জানান, ক্রয় আদেশ দেয়ার পর ইউরোপের একটি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান তা কমিয়ে দিয়েছে। কিছু অংশ রপ্তানি না করার অনুরোধ জানিয়েছে। ইউরোপে বিক্রি কমে যাওয়ায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
[৭] এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) স¤প্রতি এক প্রতিবেদনে বলেছে, করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতির সম্ভাব্য ক্ষতির পরিমাণ সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলার বা ২৫ হাজর ৬০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। যা বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) শূন্য দশমিক ১ শতাংশের সমান।
আপনার মতামত লিখুন :