আসিফুজ্জামান পৃথিল : [২] জননিরাপত্তা আইনে আটক ছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক এই মুখ্যমন্ত্রী। তবে তিনি মুক্তি পেলেও তার পুত্র ওমর আবদুল্লাহ এবং আরেক নেতা মেহবুবা মুফতির বিষয়ে কিছু জানায়নি রাজ্যটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইয়ন নিউজ, এনডিটিভি, আনন্দবাজার
[৩] ৫ আগস্ট কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের ঠিক আগে এই নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে তারা প্রায় বিনা বিচারেই আটক ছিলেন।
[৪] এক টুইট বার্তায় তার পিতা সাফিয়া আব্দুল্লাহ খান লেখেন, ‘আমার পিতা আবারও একজন মুক্ত মানুষ।’
[৫] সেপ্টেম্বরে এই লোকসভা এমপিকে জননিরাপত্তা আইনের আওতায় আটক দেখানো হয়। তার বিরুদ্ধে জনগনেরর মধ্যে বিশৃঙ্খলা কৈরির অভিযোগ এনেছে ভারত সরকার।
[৬] এই প্রথমবারের মতো ভারতে কোনও মূলধারার রাজনীতিবিদের উপর এই আইনে অভিযোগ আনা হয়েছিলো। সাধারণও জঙ্গী, বিচ্ছিন্নতাবাদী বা পাথর নিক্ষেপকারীদের এই আইনের আওতায় আনা হয়।
[৭] কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন বিরোধীরা। তার পরেও ছাড়া হয়নি ফারুককে। বরং ডিসেম্বরে তার বন্দিদশার মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়ানো হয়।
[৮] অবিলম্বে ফারুক আবদুল্লার মুক্তি চেয়ে সম্প্রতি ৮টি বিরোধী দল কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে যৌথ আবেদন জানিয়েছিলো। সেই সঙ্গে জন নিরাপত্তা আইনে বন্দি ফারুক আবদুল্লার ছেলে ওমর আবদুল্লা এবং উপত্যকার আরেক সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির মুক্তির দাবিও জানিয়েছিলেন তারা।