সিরাজুল ইসলাম: [২] এলিজাবেথ স্নেইডার নামে ওয়াশিংটনের এই বাসিন্দা বলেন, উপসর্গ দেখা দিলেই বাড়িতে থাকুন। ঝুঁঁকি এড়িয়ে চলুন। তাহলেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলা সম্ভব। তা না হলে ভয় বা আতঙ্কের কাছে জীবন পরাস্ত হওয়ার সুযোগ থাকে।
[৩] ৩৭ বছরের এলিজাবেথ বায়োটেকনোলজি সংস্থার মার্কেটিং ম্যানেজার পদে কর্মরত। ২৫ ফেব্রুয়ারি অফিসে অসুস্থ বোধ করেছিলেন। এর তিন দিন আগে তিনি পার্টিতে গিয়েছিলেন। অসুস্থ বোধ করার পর তিনি বাড়ি ফিরে বিশ্রাম নেন। ঘুমানোর পর তিনি তীব্র জ্বর অনুভব করেন। রাতেই তাপমাত্রা ১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইটে উঠে। তিনি ঠাণ্ডার ওষুধ খেয়ে নেন।
[৪] এলিজাবেথের কাশি বা শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ ছিল না। জ্বরে কাঁপতে কাঁপতে তিনি চিকিৎসকের কাছে যান। প্রাথমিকভাবে ফ্লু-এর ওষুধপত্র খেয়ে নিজেকে ঘরবন্দি করেন।
[৫] তিনি ইন্টারনেটে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কর্মীরা তার বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে। পরীক্ষার রিপোর্টে দেখা যায়, তিনি কোভিট-১৯ পজিটিভ। নিজ বাড়িতে ‘ইমারজেন্সি’ ঘরে চলে যান। বের হননি। চিকিৎসকদের পরামর্শমতো পচুর পানীয় খান। সপ্তাহখানেকের মধ্যে সুস্থ হওয়ে ওঠেন। এখন পর্যন্ত এ রাজ্যে সংক্রমিত হয়েছেন ২৬০ জন এবং মারা গেছেন অন্তত ২৪ জন।
আপনার মতামত লিখুন :