লুৎফর রহমান হিমেল: সড়ক দুর্ঘটনায় আমাদের অনেক প্রাণহানি হয়। এটি কীভাবে যেন গা-সওয়া হয়ে গেছে আমাদের। পত্র-পত্রিকায় অনেক লেখালেখিও হয়। কর্তৃপক্ষ কঠোর হয় না। হবে কী করে? সর্বদলীয় ঐক্যজোট করে পরিবহন খাতটি জিম্মি করে ফেলেছে একটি চক্র। তাদের বিশাল টাকার পাহাড়। ফলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। এ কারণে দুর্ঘটনা বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিকদের নিয়তি-লিখন হয়ে গেছে। তাই সেই দুর্ঘটনার সঙ্গে করোনাভাইরাসের উদ্বেগের তুলনা ঠিক নয়। এ ভাইরাসটির ভয়াবহতা নিয়ে এখন সবাই অবগত। চীনের অবস্থা মোটামুটি দেখেছে বিশ্ব। তারা এখনো লড়ছে। তবে অনেকটাই সামলে নিয়েছে তারা। কিন্তু এ জন্য তারা যে মহাআয়োজন করেছে, বাংলাদেশ তো দূরে থাক, বিশ্বের আর কোনো দেশের পক্ষে সেটা করা সম্ভব কিনা ভেবে দেখার বিষয়। ইতালি ও ইরান খাবি খাচ্ছে।
সর্দিজ্বরের মতো সামান্য একটি ভাইরাস কতোটা ভয়াবহ হতে পারে তার জন্য বেশি উদাহরণের দরকার নেই। এ ভাইরাসে এর মধ্যেই মারা গেছেন ডাক্তার, যারা স্বাস্থ্য বিষয়ে সবচেয়ে অবগত। মারা গেছেন এমপি, মন্ত্রী, যারা বিত্তবান ও ক্ষমতাবান। চিকিৎসায় তাদের ত্রুটি হওয়ার কথা নয়।
অনেকে বলছেন, এটি নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। মৃত্যুহার ৩ শতাংশ। শিশুদের কিছু হবে না, ইত্যাদি। আমি এ কথাটুকু শুনে অবাক হই। শিশুদের কিছু হবে না মানলাম। সিনিয়ররা কি মানুষ নয়? শিশুরা যদি স্কুল থেকে ভাইরাস বহন করে নিয়ে আসে পরিবারে, সেখানে সিনিয়র সিটিজেনরা যখন আক্রান্ত হবে পরিস্থিতি তখন কী হবে? এ ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়ার প্রক্রিয়াটিই বেশি দুশ্চিন্তার কারণ। আক্রান্ত একজন ব্যক্তি যখন বাসে উঠবে, তার হাত থেকে বাসের সিটে চলে যাবে ভাইরাস। এরপর জনে জনে। এরপর গোটা শহর। এ কারণেই চীনের উহানসহ কয়েকটি শহর সিলগালা করে জীবাণুমুক্ত করা হয়। নাগরিকদের সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। ইতালিও করেছে। দেড় কোটি মানুষকে তারা এর মধ্যে পৃথক করে রেখেছে। আমরা অনেক সময় পেয়েছি। এখনই ব্যবস্থা না নিলে অগোছালো এই ঢাকা নগরীর ততোধিক অগোছালো আড়াই কোটি মানুষকে নিয়মের মধ্যে আনা যাবে না। তখন পরিস্থিতি সামলানো মুশকিল হবে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :