সুলতান মির্জা : রাষ্ট্র শাসনে সাম্প্রদায়িকতার চরম মাশুল দিচ্ছে পাকিস্তান, সারাবিশ্বে পাকিস্তান সম্বন্ধে নেতিবাচক ধারণা চলমান। বিনিয়োগ, ব্যবসা-বাণিজ্য পর্যটন সব দিকেই পাকিস্তান নি¤œমুখী। অনেকেই দ্বিমত পোষণ করতে পারে, বাস্তবতা হলো শাসন ব্যবস্থায় ধর্মকে প্রাধান্য দিলে উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে উঠে, রাষ্ট্রের ঘাড়ে সাওয়ার হয়ে যা খুশি তা করে। পাকিস্তান ভালো নেই, ভালো থাকবে না। শুধুই উপমাহদেশীই নয়, দক্ষিণ এশিয়া, এশিয়া তথা বিশ্বরাজনীতিতে ভারতের সুনাম ছিলো, প্রথমত বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা, সব ধর্মমতের সহাবস্থান, শিল্প, সংস্কৃতিতে অসাম্প্রদায়িক ভারত ছিলো অনেকের কাছে গর্বের। সেই ভারতকে একদম ইচ্ছা করে ধ্বংস করে দিচ্ছে নরেন্দ্র মোদী ও তার দল। কোনো দরকার ছিলো না রাজনীতিতে ধর্মকে ঢাল হিসেবে টেনে আনার, মোদী এনেছে... ক্রমেই পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে, ভারতের মানুষ ভালো নেই। হারিয়ে যাচ্ছে সহনশীলতা। ভারতের রাজনীতির প্রতি ক্রমেই কমছে বৈশ্বিক আস্থা ও ভরসা। একাকী হয়ে পড়ছে ভারত। একদম অস্থিতিশীল ভারত সাম্প্রদায়িকতার ছোবলে রক্তাক্ত হয়ে যাচ্ছে। বাড়ছে হিংসা, বিদ্বেষ, পরস্পরের প্রতি মারমুখী অবস্থান। কোনো দরকার ছিলো না। তারপরও নরেন্দ্র মোদী ও তার দল বিজেপি করেছে। নরেন্দ্র মোদী ও তার বিজেপি জোটের পতন হলেও এই ভারত তার পূর্বের জায়গায় ফিরে আসতে পারবে না। একটা ভালো সাজানো গোছানো ফুলের বাগান ধ্বংস করতে একটা ছাগলের পাল যথেষ্ট, নরেন্দ্র মোদী হলো সেই ছাগল বিজেপি তার পাল। আফসোস হচ্ছে ভারতের এই সাম্প্রদায়িকতার ঢেউয়ে আমাদের মাতৃভূমিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ফেসবুক থেকে