ফারুক আস্তানা : দিল্লি মুসলিমদের টার্গেট করে যে রাষ্ট্রীয় নিধন চলছে। মেতে উঠেছে, সরকার পুলিশ ও বিজেপি আরএসএস নেতাকর্মীরা। তার উসকানি দেওয়া হচ্ছে। সরাসরি রাষ্ট্রের উঁচু পদ গুলো থেকে। দিল্লিতে বিজেপি মুসলিমদের উপর চরম ক্ষেপে আছে। কারণ মুসলিম ভোটারা বিজেপিকে ভোট দেয়নি, দিয়েছে আম আদমি পার্টিকে। পরাজিত বিজেপির প্রার্থী দিল্লির মুসলিম জনগোষ্ঠীর উপর প্রতিশোধ নিচ্ছে। এতে বিজেপি হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা বাধিয়ে দেওয়ার একটা সুযোগ কারণ দাড় করাতে পারছে। উগ্র হিন্দু যুবক ও জনগোষ্ঠীর সামনে। আর তারা মুসলিম ঘরবাড়ি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হামলা করে নিহত করছে। সম্পদ লুট করছে। মসজিদ অগ্নিসংযোগ করেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় বড় কোনো প্রতিবাদ আসেনি আন্তর্জাতিক মুসলিম সম্প্রদায় থেকে। বড় শক্তি প্রধান দেশ ও সংস্থা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকেও। দিল্লির একপেশে দাঙ্গায় বাংলাদেশের মানুষ প্রভাবিত করছে ও হচ্ছে। কারণ বিজেপি ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ও মুসলিম জনগোষ্ঠীকে জড়িয়ে ইস্যু করে নিয়েছে। যদিও দেশের ক্ষমতাশীন গোষ্ঠী গায়ে মাখছেন না। তারা আরও সময় নিতে চাচ্ছেন বা সময় নিয়ে এগুতে চাইছেন। এসব নিয়ে, ‘যদিও খুবই গুরুতপূর্ণ একটা বিষয় এনআরসি’ হাসিনা সরকার চায় ক্ষমতা বা ভারতীয়দের সঙ্গে সম্পর্ক মন্দের দিকে যাক তা নিয়ে খুবই সচেতন আবস্থানে আছেন। কিছুতেই আস্থা হারাতে চান না।এটা হলো ক্ষমতা কেন্দ্রীক রাজনীতি। আওয়ামী লীগ দেশের মধ্যেই যে নড়বড়ে আবস্থায় আছে। তার উপর যদি ভারতের সঙ্গেও সম্পর্ক নষ্ট হয় তা হলে এটা হবে তাদের জন্যে ইচ্ছা মৃত্যুর সমান। তবে সরকারের আবস্থান যাইহোক জনগণ শক্তি থেকে প্রতিবাদ করতে হবে। ভারতীয় হাইকমিশন বরাবর কালো পতাকা উত্তোলন করুন। জানিয়ে দিন। দিল্লিতে যা করছে বিজেপি সরকার এতে বাংলাদেশের জনগণ আতঙ্কিত হচ্ছে। তারা শান্তি চায়।
সকল ধর্ম বর্ণের মানুষ নিরাপৎ থাকুক। একসঙ্গে ভয়হীন বসবাস করুক। এর সাথে সাথে বাংলাদেশে ভারতীরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আড়ালে মানুষ কী করছে তাদের নজরদারি মধ্যে রাখতে হবে। অবৈধ ভাবে যতো ভারতীয়সহ বিদেশি বাংলাদেশে চাকরি করছে ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের আটক করে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশ থেকে বিতাড়িত করতে হবে। রাজধানী ঢাকাসহ বাংলাদেশকে নিরাপদ করুন। ফেসবুক থেকে