লাইজুল ইসলাম : [২] নদীর জায়গা দখল করে বালুমহাল ও ইট-শুরকির ব্যবসা করে আসছিলেন দখলদাররা। তাদের স্থাপনা ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। এছাড়া যেসব বাড়ি নদীর অংশে রয়েছে সেগুলোও ভাঙ্গা হয়েছে।
[৩] বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিআইডাব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের ম্যাজিষ্ট্রেট হাবিবুর রহমান হাকিমের নেতৃত্বে এ অভিযান শুরু হয়।
[৪] ম্যাজিষ্ট্রেট বলেন, নদীর সীমানার মধ্যে কোনো ধরনের স্থাপনা রাখতে দেয়া হবে না। আমরা নদীর আদীপথ দেখেছি। সেই অনুযায়ী উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।
[৫] সকাল থেকে শুরু হওয়া অভিযানে কেউ বাধা দিতে আসেনি বলে জানান ম্যাজিস্ট্রেট। তবে কেউ যদি বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হতো।
[৬] বিআইডাব্লিউটিএ’র অভিযানে সমর্থন দিয়েছেন এলাকাবাসী। উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন অনেকে। তারা বলেন, নদীর অনেকটাই দখল করে বালুমহাল ও ইট-শুড়কির ব্যবসা করছিলেন প্রভাবশালীরা। তাদের উচ্ছেদ করা খুবই জরুরী। এছাড়া, নদীর সীমানা পিলার যেখানে ছিলো সেখানেই বসানো হোক। এতে কার কি হলো তা আমাদের দেখার দরকার নাই। এখন সীমানা নির্ধারণ করা খুবই জরুরী।
[৭] সিরাজ মিয়া বলেন, নদী উদ্ধার হলে নাব্যতা ফিরবে। ছোট বেলায় মাছ ধরেছি। গসুল করেছি। এখন নদীর কাছেই আসা যায় না। উচ্ছেদ হোক নদী বাঁচুক।
[৮] মেরাজ বলেন, সীমানার মধ্যে বাড়ি ছিলো। সরানোর নির্দেশনা পেয়ে বাড়ি সড়িয়ে ফেলেছি। নদীর জায়গায় বাড়ি থাকলেতো ভাংবেই। বাঁধা দেয়ার কিছু নাই।
আপনার মতামত লিখুন :