সিরাজুল ইসলাম: [২] মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফরের মধ্যেই সিএএবিরোধী এবং পক্ষের লোকজনের মধ্যে রোববার সংঘর্ষ শুরু হয়। মঙ্গলবার রণক্ষেত্রে রূপ নেয় দিল্লির মুসলমান অধ্যুষিত উত্তর-পূর্বাঞ্চল। রয়টার্স, এনডিটিভি
[৩] হামলার শিকার হয়েছেন কয়েকজন সাংবাদিক। মৌজপুরে এক সাংবাদিককে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়। মৌজপুর, গোকুলপুরী, ভজনপুরা চক, ভজনপুরা, কারবাল নগরে বাজার, দোকান ও গাড়িতে আগুন লাগানো হয়।
[৪] চাঁদবাগ ও কারাওয়ালনগরের রাস্তায় লাঠি ও রড হাতে দাপিয়ে বেড়িয়েছে দুর্বৃত্তরা। পুলিশি নিরাপত্তা না পাওয়ায় সেখানে পৌঁছায়নি অগ্নিনির্বাপক বাহিনী।
[৫] মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাফরাবাদ মেট্রো স্টেশন থেকে সিএএবিরোধীদের হটিয়ে মৌজপুরের দিকে এগোচ্ছিল পুলিশ। সেখানে বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রের নেতৃত্বে সিএএর পক্ষে কর্মসূচি চলছিল। ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দেয়ার জন্য তিনি সমালোচিত।
[৬] উত্তর-পূরআব দিল্লিতে পাথর হাতে দল বেঁধে থাকা সিএএ সমর্থক একদল স্লোগান দিচ্ছিল ‘দালালদের গুলি কর’।
[৭] নিহতদের মধ্যে মঙ্গলবার পর্যন্ত চারজনের পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে। তারা হলেন রিকশাচালক শহিদ ও দোকানি মোহাম্মদ ফোরকান, পুলিশ কনস্টেবল রতন লাল ও বিপণন কর্মকর্তা রাহুল সোলাঙ্কি।
[৮] দিল্লি পুলিশ বিবৃতিতে বলেছে, পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে সহিংসতা চলছে।
[৯] মঙ্গলবার কয়েকটি এলাকায় সান্ধ্য আইন জারি করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে মেট্রো স্টেশন বন্ধ রাখা হয়েছে। বেসরকারি টেলিভিশনগুলোকে সংঘাতের খবর প্রচারের ক্ষেত্রে সাবধান করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
আপনার মতামত লিখুন :