রবিউল আলম : বাঙালির গর্বের বিষয়, অহংকারের বিষয় ২১ আজ আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস। ভাষার জন্য জীবন দিতে পারে, দিয়েছে। রক্ত দিয়ে কেনা আমার এই মুখে ভাষা, বিশ্ব অবাক হয়ে দেখলো। আমার ভাষাকে আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস হিসেবে গ্রহণ করলো। একুশের প্রহরে আমরা মালা আর তোড়া নিয়ে হাজির হই শহীদ বেদীতে। বিশ্ব হাজির হয় আমাদের সঙ্গে। আমরা ভাষা সৈনিকদের জন্য গর্ব অনুভব করি। গর্বিত হয় বাঙালি জাতি। নৌকার জন্য প্রাণ দিয়েছে এই বাঙালি, আজ আমরা স্বাধীন জাতি, বাঙালির জন্য একটা দেশ হয়েছে। হোক না ছোট্ট। বিশ্ব মানচিত্রে একটা স্থান তো আছে। আমি আমার পরিচয় দিতে পারি। আমার ঠিকানা বলতে পারি। যারা আমার মুখে ভাষা ও মানচিত্র দিয়ে গেলো, তাদের আমরা কি দিতে পেরেছি? কি দিচ্ছি?
এখনো শুনতে হয় মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট ছিঁড়ে ফেলেছে, বিচার হয় তো পাবে, মুক্তিযোদ্ধার সম্মানের কথা আমাদের বিবেচনায় আসে না কেন, যারা আমার দেশের জন্য জীবন যৌবন দিয়ে গেলো। রাজাকারের রক্ত এখনো প্রবাহিত হচ্ছে এই বাংলার পবিত্র মাটিতে। ভাষা সৈনিক দু-চারজন যাও বেঁচে আছেন তাদের আমরা কতোটুকু সম্মান করতে পেরেছি? মিডিয়া দেখতে হচ্ছে এখনো অনেক ভাষা সৈনিকের পরিচয়ও আমরা জানতে পারলাম না। মিডিয়া আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছেন ৬৮তম ভাষা দিবসেও দেখতে হচ্ছে। জাতি হিসেব গর্বের নয়। গর্ব করার একটা ভাষা দিবস। গর্ব করার একটা স্বাধীনতা দিবসে কবে আসবে। কবে আমরা রাজাকার মুক্ত, বিদেশমুক্ত দিবসগুলো পালন করতে পারবো? ভাষা আর স্বাধীনতা দিবস বাঙালি ঐক্যবদ্ধ একমঞ্চে, একই সুরে গাইবে আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ২১ ফেব্রুয়ারি, আমার সোনার বাংলার গান, সেদিন হবে আমাদের স্বার্থকতা। শেখ হাসিনা আছে বলেই আশার বাঁশি হাতে নিয়ে এখনো বেঁচে আছি। লেখক : মহাসচিব বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি
আপনার মতামত লিখুন :