ফরহাদ আমিন,টেকনাফ(কক্সবাজার) : সেন্টমার্টিনেরঅদূরে১৮০কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক জলসীমায় অনুপ্রবেশকারী ৪টি বিদেশী মাছ ধরার ট্রলারসহ২৪জন জেলেকে আটক করেছে নৌবাহিনী জাহাজ ওমর ফারুক।এসময় সীহর্স,ওয়াসানা-০১,ওয়াসানা-০৩ও সানজু পুথা-০৭, নামের ৪টি মাছ ধরার ট্রলার জব্দ করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের আটক করা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) পরিচালকের পক্ষে সহ:তথ্য অফিসার এস এম শামীম আলম।গত ১৮ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে পড়ে এ চারটি মাছ ধরার ট্রলার।বাংলাদেশের জলসীমায় নিয়মিত টহল প্রদানকালে নৌবাহীনির জাহাজ ওমর ফারুক ওই ৪টি ট্রলারকে আটক করেন।আটক করা ট্রলার ও জেলেদেরকে বর্তমানে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হচ্ছে।ট্রলার ও আটক জেলেদের আগামীকাল(শুক্রবার)প্রয়োজনীয় আইনানুগ প্রক্রিয়া সম্পাদনের জন্য ফিসারিজ বিভাগের নিকট হস্তান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের বিশাল সমুদ্রসীমায় তিনটি বৃহৎ মৎস্য বিচরণ ক্ষেত্র বিদ্যমান।সর্ববৃহৎ মৎস্য বিচরণক্ষেত্রটি এশিয়ার মধ্যে অত্যন্ত মূল্যবান টুনা মাছের আদর্শ বিচরণক্ষেত্র হিসেবে বিশ্বে সুপরিচিত। অল্পসংখ্যক দেশীয় ফিশিং ট্রলার এই বিচরণ ক্ষেত্রে মৎস্য আহরণ করে থাকে।তাছাড়া বছরের নভেম্বর হতে মার্চ পর্যন্ত বঙ্গোপসাগর মোটামুটি শান্ত থাকায় বিভিন্ন সময়ে বিদেশি ট্রলারও গভীর সমুদ্রে বাংলাদেশে মৎস্য আহরণের জন্য চলে আসে।বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনে ব্লু-ইকোনমি সংরক্ষণ, সমুদ্র সম্পদ আহরণ, মৎস্য সম্পদের সুরক্ষা, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও মৎস্য শিকার রোধ ,চোরাচালান দমন ও জেলেদের নিরাপত্তা বিধানে নৌবাহিনীর ৬টি জাহাজ দিন-রাত সার্বক্ষনিক ভাবে গভীর সমুদ্র ও উপকুলীয় এলাকায় নিয়মিতভাবে টহল প্রদান করে চলছে।