শিরোনাম
◈ যুদ্ধ বন্ধের শর্তেই ইসরায়েলি জিম্মিদের ছাড়বে হামাস ◈ হরলিক্স আর স্বাস্থ্যকর পানীয় নয়  ◈ বাংলাদেশে চিকিৎসা সুবিধায় থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী ◈ থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে  প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ আন্তরিক অভ্যর্থনা ◈ যে কোনো ভিসাধারী পবিত্র ওমরাহ পালন করতে পারবেন  ◈ পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফে'র গুলিতে বাংলাদেশি নিহত ◈  কমবে তাপমাত্রা, মে মাসেই কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টির সম্ভাবনা ◈ বাংলাদেশ-চীন সামরিক মহড়া মে মাসে, নজর রাখবে ভারত ◈ দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু: চুয়েটে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, যান চলাচল শুরু ◈ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ভারত, চীন বা রাশিয়ার মাধ্যমে পরিচালিত নয়: মার্কিন কর্মকর্তা

প্রকাশিত : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৩:৩০ রাত
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৩:৩০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

র‌্যাব পরিচয়ে ডাকাতি চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার

সুজন কৈরী : রাজধানীর দারুসসালাম ও মোহাম্মদপুর এলাকায় বুধবার অভিযান চালিয়ে র‍্যাব পরিচয়ে ডাকাতি চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আটকরা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম ওরফে স্বাধীন (৪৭) ও আলমগীর খাঁ (৩৫)।

পিবিআই ঢাকা মেট্রোর (উত্তর) বিশেষ পুলিশ সুপার মো. বশির আহমেদ জানান, গত ২৮ ডিসেম্বর সকালে খিলক্ষেত থেকে বাসে করে যাত্রাবাড়ী যাচ্ছিলেন মো. মাহামুদুল হাসান (২২) নামের এক যুবক। গাড়িটি যাত্রাবাড়ীর শনির আখরা ফুটওভার ব্রিজের নিচে পৌঁছানোর পর র‌্যাবের জ্যাকেট পরা অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন অভিযোগ আছে বলে পিস্তলের ভয় দেখিয়ে মাহমুদল হাসানকে গাড়ি থেকে নামিয়ে তার কাছে থাকা একটি আইফোন, একটি শাওমি রেডমি নোট ও নগদ ৩ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেন। তার মুখ চেপে ধরে মারতে মারতে ব্রিজের নীচে থাকা ডাকাত দলের এক্স করোলা গাড়িতে ওঠানো হয়। একপর্যায়ে বাঁচার জন্য চিৎকার করতে থাকলে এক উবার চালক, ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল ও আশপাশের জনতা মাহমুদুলকে বাঁচাতে এগিয়ে যান। পরে ডাকাত দলটি নিজেদের গাড়ি ও র‍্যাবের জ্যাকেট ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ডাকাতদের ফেলে যাওয়া এক্স-করোলা গাড়ি, র‌্যাবের জ্যাকেট, গাড়ির কাগজপত্র ও আইডি কার্ড উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মাহমুদুলের ভাই যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা করেন।

পিবিআইর এ কর্মকর্তা বলেন, মামলাটির তদন্ত শুরু করে পিবিআই। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে পিবিআইর একটি বিশেষ দল দারুসসালামের খালেক ফিলিং স্টেশনের সামনে অভিযান চালিয়ে জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া তথ্যে মোহাম্মদপুর কলেজ গেটের সামনে থেকে আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার দুই জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে পিবিআই জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা সংঘবদ্ধ একটি ডাকাত দলের সদস্য। তাদের প্রথম পরিচয় হয় কারাগারে। এরপর তারা শুরু করে ডাকাতি কার্যক্রম। কখনো র‍্যাব, কখনো ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ঢাকা মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নানা জনকে প্রথমে অপহরণ ও পরে ডাকাতি করে সর্বস্ব লুটে নিত তারা। ডাকাত দলের এ সদস্যরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যবসায়ীদের বড় অঙ্কের নগদ টাকার লেনদেন সর্ম্পকে তথ্য সংগ্রহ করে টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় অনুসরণ করত। পথে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ওইসব ব্যক্তির কাছ অবৈধ জিনিস আছে বলে আটক করতো এবং মাইক্রোবাসে করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যেতো। পরে নিরিবিলি ও সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মারধরের পর ভিকটিমদের কাছে থাকা টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুটে নিতো। ডাকাতি করতে তারা সাধারণত মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার ভাড়া করতো। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

বশির আহমেদ জানান, এর আগে এ চক্রের আরও ২ সদস্য মেহেদী হাসান ও আশিক পারভেজকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আশিক আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়