শাহানুজ্জামান টিটু : কারামুক্তির জন্য খালেদা জিয়ার সামনে তিন পথ খোলা, এক. আইনি প্রক্রিয়ায় লড়াই করে জামিন, দুই. প্যারোলে মুক্তির জন্য সরকারের কাছে আবেদন এবং তিন. সাজা মওকুফ কিংবা সাজা কমানোর জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন।
জানা গেছে, মুক্তির ব্যাপারে খালেদা জিয়ার আগের তুলনায় অনেকাংশে নমনীয়। তার আপত্তি সত্বেও শারীরিক ও পারিবারিক চাপে এখন আপত্তি করছেন না। তবে খালেদা জিয়ার পরিবার প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে আগে বললেও এখন সেখান থেকে সরে এসে তারা জামিনের ব্যাপারে আগ্রহি। কারণ প্যারোলে মুক্তি পেলে তাকে শৃঙ্খলিত চলাফেরার মধ্যে থাকতে হবে। এক্ষেত্রে তিনি রাজনৈতিকসহ স্বাভাবিক কোনো মুভমেন্ট করতে পারবেন না। ফলে যেকোনো প্রক্রিয়া মুক্তি থেকে সরে এসে তার পরিবার খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা, বয়সসহ পারিপাশ্বিক অবস্থা উল্লেখ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে বিশেষ আবেদন করার চিন্তাভাবনা করছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তারা খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকে বেশী গুরুত্ব দিয়ে পরিবারের সঙ্গে একমত হয়েছি। এখানে কোনো রাজনীতি নয়। বরং সর্ম্পূণ মানবিক কারণে তার মুক্তি চাই। জামিনের জন্য আমরা আবারো আদালতে আবেদন করবো। জামিনে মুক্তি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ চলে যাবেন।
সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রীরা ইতিমধ্যে খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে নানা শর্তের কথা বলছেন।
আপনার মতামত লিখুন :