সিরাজুল ইসলাম: ওসি আশিকুর রহমান গোয়ালন্দঘাট থানার ফেসবুক আইডিতে নিজের অফিস কক্ষের দরজার সামনে টাঙানো একটি ব্যানারের ছবি পোস্ট করেছেন। এতে আরও লেখা রয়েছে, ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার। ইহা একজন গণকর্মচারীর অফিস। যে কোনও প্রয়োজনে এই অফিসে ঢুকতে অনুমতির প্রয়োজন নাই। সরাসরি রুমে ঢুকুন। অনুরোধে: ওসি, গোয়ালন্দঘাট থানা, রাজবাড়ী।
রোববার রাতে এই স্ট্যাটাস পোস্ট করা হয়। এতে লাইক পড়েছে চারশ’র মতো, মন্তব্য করা হয়েছে শতাধিক এবং শেয়ার হয়েছে ৩৬টি। সিংহভাগ মন্তব্যে এসে তাকে সাধুবাদ জানানো হয়েছে।
দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর এক যৌনকর্মীর জানাজা-দাফন ও কুলখানি আয়োজন করে দেশি-বিদেশি সংবাদ মাধ্যমে আলোচনায় আসেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। কারণ এখানকার যৌনকর্মীদের কখনও দাফন করা হতো না।
ওসি বলেন, আমি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। আমি তো বলব এটাই হওয়া উচিত। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় আমাদের বেতন হয়। সুতরাং জনগণকে সেবা দেয়াই আমাদের কাজ। স্যার বলার প্রশ্নই আসে না। তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী দেশের মালিক জনগণ। মালিক তার কর্মচারীকে স্যার বললে একটা শূন্যতা থেকে যায়। জনগণ যদি আমাকে মনের কথা বলতে না পারে সেক্ষেত্রে সেবা দেয়া খুব কষ্টকর। আমি চাই জনতা বিপদে-আপদে পুলিশের কাছে ছুটে আসুক।