মুনশি জাকির হোসেন : দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা সিন্ডিকেটের পকেটে চলে গেছে, শেয়ার বাজার/ব্যাংকিং খাত সেটিই নির্দেশ করছে। যাদের প্রয়োজন তারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে গেলে হাজারো কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। অথচ সেই একই ব্যাংক থেকে দুর্বৃত্তের দল হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। পরিস্থিতি এতোটাই খারাপ যে, একজন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে খেলাপি হলে ব্যাংক সেই জমি বিক্রি করতে যেয়ে দেখে সেই জামানত দেওয়া জমি মূলত গোরস্থানের জায়গা। অর্থাৎ গোরস্থানের জমি দেখিয়েও ব্যাংক লুটপাট করা হচ্ছে।
আরেক নৈরাজ্যকর আর্থিক প্রতিষ্ঠান হলো শেয়ার মার্কেট। এখানেও দেদারছে ডাকাতি চলছে। ভুয়া প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক দেখিয়ে, জাল কাগজপত্র তৈরি করে বিভিন্ন খাত দেখিয়ে আইপিও, রাইট শেয়ারের নামে লুটপাট চলছে গত এক দশকের বেশি সময় ধরে। কিছুদিন পরই সেই কোম্পানির প্রকৃত চেহারা সামনে চলে আসছে। আমজনতা শেয়ার কিনে রামধরা খাচ্ছে। কর্তারা বলছেন, জনগণ বোকা। তারা নাকি না বুঝে শেয়ার ব্যবসা করে। অথচ যারা জালিয়াতি করছে তাদের কিছুই হচ্ছে না। এ সব অনিয়ম বন্ধের পরিবর্তে সঞ্চয়পত্রের সুদ কমিয়ে, কর আরোপ করে বিভিন্ন সময়ে গরিব/মধ্যবিত্ত মারার ফাঁদ তৈরি চলছে বেশ জোরেশোরে। উপরের ঘটনাগুলো নির্দেশ করছে, বাংলাদেশ ক্রমশই পুঁজিবাদের ভেতরে চলে যাচ্ছে। ফেসবুক থেকে