রুহুল আমিন : বাংলাদেশের করপোরেট সেক্টরের উচ্চ পদগুলো ভারত, শ্রীলঙ্কা এমনকি নেপাল ও পাকিস্তানের লোক দিয়ে ভরপুর কেন? এই প্রশ্নটার উত্তর খুঁজতে গেলেই বোঝা যায় আমাদের নোটবই-কোচিং নির্ভর পড়াশোনার মান কতো নিচু। যে বুয়েট-ঢাবি নিয়ে আমাদের গর্বের শেষ নেই, সেখানের একটা ছেলেমেয়ে আপনি খুঁজে পাবেন না যারা নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসের উপর দৃঢ়ভাবে দাঁড়াতে পারে। যার নিজের প্রতিই আত্মবিশ্বাস নেই সে কি করে একটি করপোরেট মালিকের আস্থা অর্জন করবে? এই অনাস্থার সুযোগেই এই দেশে বিদেশিদের অনুপ্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি হয়, এই অনাস্থার সুযোগেই এই দেশে ভুলভাল বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব দিয়ে মোল্লারা কোটি কোটি টাকার চাপাবাজির বাণিজ্য করে।
মানুষের আত্মবিশ্বাসের ভিত্তি তৈরি করে সংস্কৃতির স্বকীয়তা আর জ্ঞান। এ ক্ষেত্রে সাংস্কৃতির কথা যদি বলি, আমরা চর্চা করি বোম্বাই নয় ইউরোপীয় সংস্কৃতি আর সম্মান করি আরবি-পুরনো সংস্কৃতি। বাঙালি সংস্কৃতি কোনো শিক্ষিত লোক চর্চাও করে না সম্মানও করে না। তাই সে প্রথমেই হয়ে পড়ে শেকড়শূন্য ভাসমান। আর শিক্ষা যেহেতু নোট-গাইড-কোচিং নির্ভর, তাই সেখানেও শিক্ষা তার আচরণের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে না। সাংস্কৃতি ও শিক্ষা মিলে মানুষের ব্যক্তিত্ব তৈরি হয়। বাংলাদেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর কোনো ব্যক্তিত্ব নেই। তাই সে সবসময় শ্রোতের অনুকূলে গা ভাসায়। শ্রোতের অনুকূলে কেরানি হওয়া যায়, কিন্তু বড়কর্তা হওয়া যায় না। বিষয়টা কিন্তু পরিষ্কার। ফেসবুক থেকে