শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৩:১২ রাত
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৩:১২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা বললেন, ফায়ার সার্ভিসের নেতৃত্বে জাতীয় ফায়ার কাউন্সিল হওয়া প্রয়োজন

সুজন কৈরী : ফায়ার সেফটি এন্ড সিকিউরিটি ইস্যুস ইন বাংলাদেশ : চ্যালেঞ্জ এন্ড ওয়ে ফরোয়ার্ড শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিয়ে আলোচকরা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের নেতৃত্বে জাতীয় পর্যায়ে ফায়ার কাউন্সিল গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন। ইন্টারন্যাশনাল ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপো-২০২০-এর সমাপনী দিনে শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের (বিআইসিসি) মিডিয়া বাজার হলে বক্তারা এমন পরামর্শ দেন।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইনের সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় বক্তরা বলেন, সারাদেশে অগ্নিনিরাপত্তা জোরদারকরণ, নিয়মিত বিরতিতে তা পর্যবেক্ষণ, দুর্বলতা চিহ্নিত করে তা নিরসনের উদ্যোগ গ্রহণ, এ ক্ষেত্রে প্রকৃতপক্ষে যারা দায়ী তাদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ প্রণয়ন এবং জাতীয় পর্যায়ে অগ্নিনিরাপত্তা বৃদ্ধির প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সরকারের কাছে সুপারিশ প্রণয়নে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতার জন্য ‘জাতীয় ফায়ার কাউন্সিল’ গঠন করা প্রয়োজন।

আলোচনার শুরুতে অনুষ্ঠানের সভাপতি ও ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক তার উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে অগ্নি ঝুঁকির দিক থেকে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান, অগ্নি দুর্ঘটনা, ক্ষয়ক্ষতি ও উদ্ধারের সংক্ষিপ্ত পরিসংখ্যান, দুর্ঘটনার ঝুঁকি ও সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর করণীয়, আইন ও কোডসমূহ মেনে চলার গুরুত্ব, চ্যালেঞ্জ এবং তার প্রতিকার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, আমি সব সময় আমার অধীন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশনা দেই, ফায়ার সার্ভিসে সেবা নিতে আসা ব্যক্তিদের এমনভাবে সেবা দিতে হবে, যেন তারা বোঝেন যে তারা তাদের বাড়িতে বসে সেবা পাচ্ছেন।’ তিনি সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, ফায়ার সার্ভিসের জরুরি সেবা গ্রহণের জন্য দিন-রাতের যে কোনো সময়ে ফায়ার সার্ভিসে একটি কল করাই যথেষ্ট।

আলোচকরা বলেন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড বিএনবিসি আপডেট করে তা এনফোর্স করা, ফায়ার সার্ভিসের জনবল আরো বৃদ্ধি করে ক্ষমতায়ন করা, ফায়ার কোড করা, বহুতল ভবনের সংজ্ঞার বিভ্রান্তি নিরসন করে অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপণ আইনের সংজ্ঞা অনুসারে সংজ্ঞায়িত করা, পুরান ঢাকার ক্যামিক্যাল পল্লী স্থানান্তর কাজ গতিশীল করা, অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করা, ভবন নির্মাণের সময় গৃহীত ফায়ার সেফটি প্লানের শর্ত বাস্তবায়ন বিষয়ে নজরদারি, ভবনের অকুপেন্সি সার্টিফিকেট দেয়ার আগে অগ্নি নিরাপত্তা শর্ত মানার বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের মতামত গ্রহণ, শহর জুড়ে হাইড্রেন্ট ব্যবস্থা স্থাপন, ভবনে স্থাপিত নিরাপত্তা সরঞ্জাম নিয়মিতভাবে মনিটরিং এবং প্রয়োজনে এজন্য আউট সোর্সিং, স্থাপত্য বিভাগ থেকে ভবনের ডিজাইন করার সময় অগ্নি নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম স্থাপনের জন্য ব্যবস্থা ও জায়গা সংরক্ষণ, ভবনের নকশা অনুমোদনের মতো বৈদ্যুতিক নকশা অনুমোদনের আইনগত বাধ্যবাধকতা প্রণয়ন, দক্ষ জনবল দ্বারা স্থাপিত সরঞ্জামের রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত, কোড করার ক্ষেত্রে বৈদেশিক কোডের রেফারেন্স না দিয়ে বাস্তবতার আলোকে এবং আমাদের দেশের কথা বিবেচনায় রেখে পরিপূর্ণ এনেক্সারসহ কোড প্রণয়ন, গোলটেবিল আলোচনার বিষয়গুলো নথিবদ্ধভাবে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বাস্তবায়নের জন্য পাঠানো ও জনগণের ক্রয় ক্ষমতা মাথায় রেখে নিরাপত্তা শর্ত প্রস্তুত করতে হবে।

আলোচনা শেষে সকল আলোচকদের বক্তব্যের সার অংশ তুলে ধরেন অনুষ্ঠানের মডারেটর ইলেকট্রনিক্স সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইসাব) চেয়ারম্যান মো. মোতাহার হোসেন খান।

অনুষ্ঠানের সভাপতি সমাপনী বক্তব্যে সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে ফায়ার সার্ভিসকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের ভ‚মিকা তুলে ধরেন এবং সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি সকলকে সবসময় অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতন থাকার এবং যার যার জায়গা থেকে দায়িত্ব পালনের অনুরোধ জানান। সরকারের পাশপাশি এ ক্ষেত্রে সকলের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার সুযোগ আছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নেন ফায়ার সার্ভিসের সাবেক দুই মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু নাঈম মো. শাহিদউল্লাহ ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আলী আহাম্মেদ খান, পরিচালক লে. কর্নেল এস এম জুলফিকার রহমান ও লে. কর্নেল জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশ গ্রিন বিলডিং অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী আল ইমরান হোসেন, সিভিল এভিয়েশনের আবু সালেহ মো. খালেক, এক্সপ্লোসিভ ডিপার্টমেন্ট থেকে ড. মো. আব্দুল হান্নান, ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্ট বাংলাদেশের (আইএবি) স্থপতি নবী নেয়াজ খান, ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইইবি) প্রকৌশলী এস কে তাজুল ইসলাম, ডেসকোর প্রকৌশলী নূর মোহাম্মদ, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটের প্রফেসর মো. জিয়াউর রহমান খান, পিডবিøউডির প্রকৌশলী আশরাফুল হক ও প্রকৌশলী শেখর বিশ্বাস, বিদ্যুৎ লাইসেন্সিং বোর্ডের প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শক ও চেয়ারম্যান আবুল খায়ের মো. আক্কাস আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের খন্দকার অরিব, ফায়ার কনসালটেন্ট প্রকৌশলী হাসমতুজ্জামান, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এমএসটিআইর কর্ণেল হুমায়ূন, বাংলাদেশ নিটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমই) ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. হাতেম, ডিবিসি টেলিভিশনের সাংবাদিক প্রণব সাহা এবং আয়োজন ইসাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. শাহজাহান, মাহমুদুর রশিদ ও সেক্রেটারি মোহাম্মদ মাহমুদ, সহসভাপতি প্রকৌশলী মো. মনজুর আলম, ফায়ার সেফটি এক্সপোর কনভেনার প্রকৌশলী জাকির আহমেদ, সিনিয়র সহসভাপতি জহির উদ্দিন মো. বাবর প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়