কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালীন আচার খেয়ে বমি ও পেট ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়লে ১২ শিক্ষার্থীকে নাগেশ্বরী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও তিনজনকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । এঘটনায় আচারবিক্রেতাকে আটক করেছে নাগেশ্বরী থানা পুলিশ।
শিক্ষার্থীরা জানায়, বিদ্যালয়ে আসার পর অ্যাসেম্বলি শেষ করে ক্লাসে গেলে প্রথমে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মিম অসুস্থ হয়। এর পরপরই সপ্তম শ্রেণির শিমু, সায়মা, মিম, অষ্টম শ্রেণির লুবনা, মাসুম বিল্লাহ, ববিতা, বিলকিছ, জোবায়ের, পঞ্চম শ্রেণির হানিফ, ৪র্থ শ্রেণির ফাহাদ, ৬ষ্ঠ শ্রেণির রুবাইয়া, দ্বিতীয় শ্রেণির আঁখিসহ ১৫ জন অসুস্থ হয়।
চন্ডিপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শরিফা রানি জানান, পাইলট প্রকল্পের অধীন উপজেলার এই বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানো হচ্ছে। ক্লাস চলাকালীন হঠাৎ এক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়। তাকে অফিস কক্ষে এনে মাথায় পানি ঢালাসহ চিনির শরবত খাওয়ানোর পরও সুস্থ না হলে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর একইভাবে আরও বেশ কয়েক জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদেরও হাসপাতালে নেওয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে, স্কুলের কাছে খোলা দোকানে আচার ও ঝালমুড়ি খাওয়ায় এমনটি হতে পারে।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আল আমিন মাসুদ জানান, ফুড পয়জনিং নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি শিক্ষার্থীরা এখন কিছুটা শঙ্কামুক্ত।
নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন কবীর জানান, আচার ও ঝালমুড়ি বিক্রেতা ইমান আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, প্রায় ১৫/২০জন শিক্ষার্থী আচার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর শুনেছি। তাদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে। তবে এখন অসুস্থ শিক্ষার্থীরা শঙ্কামুক্ত বলেও তিনি জানান। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ