শাহনাজ বেগম : বিশ্বব্যাপী মরণব্যাধী কোভিড-১৯ ভাইরাসে অন্য দেশের ৩ জনসহ চীনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫২৬। দেশটির উহান প্রদেশে ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে ১৭০০ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং তাদের মধ্যে ৬ জন মারা গেছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় চীনের ১২ জন সদস্যের সঙ্গে ১২জন আন্তর্জাতিক সদস্য সহযোগে একটি দল গঠন করেছে। তারা আক্রান্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মধ্যে রোগটি কীভাবে, কোথায় এবং কেন ছড়িয়ে পড়ছে তা তদন্ত করে বিস্তারিত জানাবে বলে শুক্রবার জেনেভায় সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক ট্রেডার্স অ্যাডানম গ্যাব্রিয়াসুস জানিয়েছেন। ইয়ন, রয়টার্স, সিএনএন
নতুন করে ২৪০০ জনের মধ্যে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চীনে আরো ১৪ দিনের জন্য কোয়ারান্টানের আওতায় থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। মিসরে একজন এ ভাইরাসে আক্রান্ত বলে সনাক্ত করা হয়েছে।
দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় সান দিয়েগো এ ভাইরাস নিয়ে উদ্বেগের কারণে ‘স্থানীয় জরুরি অবস্থা’ ও ‘জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করেছে কাউন্টি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। কাউন্টি সুপারভাইজার নাথান ফ্লেচার বলেছেন, জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তায় এটি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ যাতে কাউন্টির বাসিন্দাদের বাড়তি ঝুঁকির বিষয়ে সচেতন হয়। চীনের উহান থেকে আসা দুইজনের শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি সনাক্ত হলে তাদের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় সান দিয়েগো স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৪৪৩ জন মার্কিনীকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে, তাদের মধ্যে ১৫ জনের শরীরে এ ভাইরাসটি সনাক্ত হয়েছে।
জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরের কাছে বিচ্ছিন্ন করে রাখা প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসের একজন ক্রুসহ আরও ৪৪ জনের শরীরে এ ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ২৯ জনই জাপানি নাগরিক। সংক্রমণ ঠেকাতে কয়েক সপ্তাহ ধরে পৃথক করে রাখা প্রমোদতরীটির যাত্রী ও ক্রু মিলিয়ে মোট ২১৮ জনের দেহে কভিড-১৯ রোগ ধরা পড়ল বলে জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।