শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১০:৫৮ দুপুর
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১০:৫৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এবার সবচেয়ে বেশি দামে ফুল বিক্রি হতে যাচ্ছে

ডেস্ক নিউজ: ভালবাসা দিবস ও বসন্ত উৎসবকে ঘিরে দিনকে কেন্দ্র করে দেশের বাজারে ফুলের চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ। আবহাওয়া ও ভাইরাসজনিত কারণে উৎপাদন কম হলেও এবার স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দামে ফুল বিক্রি করছেন চাষিরা।

বছরের অন্যান্য দিনগুলোতে প্লাস্টিক ফুল কিনলেও ভালোবাসা দিবসে সবাই প্রিয়জনকে দিতে চায় তাজা গোলাপ। বসন্ত উৎসবে যোগ দিতে খোপায় বাঁধে গাঁদা ফুল। তাইতো শাহবাগ, কাঁটাবনসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ফুলের দোকানগুলোতে তাজা ফুলের মন মাতানো ঘ্রাণ। বৃহস্পতিবার সকালে শাহবাগের পাইকারি ফুলের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন রঙের একশ’ গোলাপ ৬৫০-৭৫০ টাকা, রজনীগন্ধা প্রতিটি ১৭-২০ টাকা, গ্লাডিওলাস প্রতিটি ১৫-১৮ টাকা ও গাঁদা ফুল ১০০টি ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শাহবাগের ফুল ব্যবসায়ী কাজন মোল্লা বলেন, ফুলের দাম এখন দ্বিগুণ। ভালো ফুলের এক দাম, হালকা দাঁগ লেগে যাওয়া ফুলের আরেক দাম। আগের মতো দাঁগ লেগে যাওয়া কোনো ফুল ফেলে দিচ্ছে না কেউ। বিভিন্ন ফুলের মিশ্রণে সেলোফিন দিয়ে মোড়ানো একটি বুকেট ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, বুঝেন অবস্থা। এর আগে এমন দামে আর কখনও ফুল বিক্রি করিনি। তবে চাষিরা দাম পেয়ে খুশি।

ফুলের রাজ্য হিসেবে পরিচিত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী ও পানিসারা ইউনিয়ন। সারাবছরই ফুলের চাষ হয় এখানে। দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদার সবচেয়ে বেশি যোগান আসে গদখালী থেকেই। তাদের উৎপাদিত রজনীগন্ধা, গোলাপ, জারবেরা, গাঁদা, গ্লাডিওলাস, জিপসি, রডস্টিক, কেলেনডোলা, চন্দ্র মল্লিকাসহ ১১ ধরনের ফুল দেশের মানুষের মন রাঙাচ্ছে। অধিক লাভের আশায় পহেলা ফাল্গুন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসগুলোর মতো মৌসুমের অপেক্ষায় প্রহর গোনেন তারা।

ফুলচাষি নাছির উদ্দিন জানান, ফেব্রুয়ারির তিন দিবস উপলক্ষে ফুলের চাহিদা বেড়েছে কয়েক গুণ। আর জারবেরা ফুল ১০-১৫ দিন পর্যন্ত সতেজ থাকে বিধায় বাজারে এর চাহিদাও অনেক বেশি। গত কয়েক দিন ধরেই তারা ৮-১০ টাকা দরে প্রতিটি জারবেরা ফুল পাইকারি বিক্রি করছেন।

বাংলাদেশ ফ্লাওয়ারস সভাপতি সোসাইটি আব্দুর রহিম বলেন, ফলনও কম হয়েছে। তাই এ বছর ফুলের দাম অনেক বেশি। খুচরা বাজারে প্রতি গোলাপ বিক্রি হচ্ছে ১৮-২০ টাকায়। অন্যান্য ফুলের দামও বাড়তি। সে কারণেই আশা করা যায় গদখালী ও পানিসারা থেকেই ২০ কোটি টাকার ফুল খুচরা বাজারে আসবে।

ফুল ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, উৎপাদিত ফুল সংরক্ষণে কোনো হিমাগার এবং বাজারজাত করারও ভালো ব্যবস্থা নেই। এসব সমস্যার সমাধান করলে ফুলের চাষ আরো বাড়বে, আগ্রহী হবে মানুষ। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়