শিরোনাম
◈ বাংলাদেশসহ ৩ দেশের সীমান্তে উচ্চ সতর্কতা জারি করল ভারত ◈ নতুন নির্দেশনা: সরকারি কর্মচারীদের বেতন থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাটবে কর ◈ সৎ ও স্বপ্নবাজ মানুষরাই হবে নতুন রাজনীতির চালিকাশক্তি”— নাহিদ ইসলাম ◈ এনসিপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, ‘নিক্ষেপকারীরা’ আটক (ভিডিও) ◈ মহাসড়কে আগুন জ্বালাতে গিয়ে ছাত্রদল নেতা দগ্ধ ◈ নতুন নির্বাচনী আচরণবিধি জারি: পরিবেশ রক্ষা ও ব্যয় নিয়ন্ত্রণে কঠোর শর্ত ◈ প্রবাসীকে বাদ দিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন কীভাবে হয়, প্রশ্ন ইসি সানাউল্লাহর ◈ দেশে আবারও বাড়ল সোনার দাম, ভরি কত? ◈ হঠাৎ যেভাবে ধানমন্ডির ভোটার হলেন আসিফ মাহমুদ ◈ নভেম্বরের ৯ দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহে ৪৮.৭ শতাংশ বৃদ্ধি

প্রকাশিত : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৮:৩৬ সকাল
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৮:৩৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভিক্ষা ছেড়ে ব্যবসা শুরু করলেন পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ২২ ভিক্ষুক

মাজহারুল ইসলাম ; তাদেরকে ২১টি গাভি ও মুদি দোকানের মালামাল বিতরণ করে স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করেছে সাঁথিয়া উপজেলা প্রশাসন। গতকাল বিকেলে পাবনা সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে ভিক্ষুকদের মাঝে এসব বিতরণ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পাবনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) কবীর মাহমুদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসএম জামাল আহমেদ। জাগোনিউজ

ভিক্ষা ছেড়ে পুনর্বাসিত হওয়া ব্যক্তিরা হলেন সাবের আলী, আব্দুল মজিদ, লজিরন খাতুন, ময়না খাতুন, আয়েশা খাতুন, আছের আলী, আব্দুল লতিফ, সাহেরা খাতুন, বুলু খাতুন, খোদেজা খাতুন, শুকুরন নেছা, মুনসুর আলী, আব্দুস সালাম, আব্দুর রহমান, মোতালেব হোসেন, রেজাউল করিম, জাহেদা খাতুন, জহুরা খাতুন, হাফিজা খাতুন, নেকবার মোল্লা, ওমর আলী। এদের হাতে একটি করে গাভি ও মুদি দোকানের প্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দেয়া হয়।

গাভি পাওয়া ভিক্ষুক লজিরন খাতুন ও সাহেরা খাতুন বলেন, এতোদিন ভিক্ষা করতাম। এখন গরু লালন-পালন করে সংসার চালাবো। দোকানের জন্য সামগ্রী পাওয়া হাফিজা খাতুন বলেন, স্বামী অসুস্থ। ঘরে পড়ে আছে। এতোদিন ভিক্ষা করে সংসার চালাতাম। এখন দোকানের আয় দিয়ে সংসার চালাবো। আর ভিক্ষা করতে হবে না।

এ ব্যাপারে ইউএনও এসএম জামাল আহমেদ বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভিক্ষুক পুনর্বাসনের এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এটি চলমান থাকবে। পুনর্বাসনকাজ নিয়মিত মনিটরিং করা হবে। তাদের সুবিধা-অসুবিধা দেখা হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট এলাকায় কর্মকর্তা নিয়োজিত থাকবেন।

পাবনার জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ বলেন, এসব ভিক্ষুকের হাত যেনো সত্যিকার অর্থে কর্মীর হাতিয়ার হতে পারে, সেজন্য সবাইকে গাভি দেয়া হলো। গাভির দামের সমপরিমাণ নগদ টাকা দিলে দ্রæত ব্যয় করে নিঃস্ব হয়ে যেতেন তারা। গাভি এবং দোকানের মালামাল দেয়ায় তাদের নিয়মিত আয়ের উৎস হবে। সমাজের বোঝা না হয়ে দেশের সম্পদ হবেন তারা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়