শিরোনাম
◈ পিআর পদ্ধতি কী, কেন প্রয়োজন ও কোন দেশে এই পদ্ধতি চালু আছে?" ◈ ইসরায়েলি হামলায় ৪৩৭ ফুটবলারসহ ৭৮৫ ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদের মৃত্যু ◈ পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরায়েলিদের সাথে তাদেরই সেনা জড়ালো সংঘর্ষে! (ভিডিও) ◈ আমদানি-রপ্তানিতে এনবিআরের নতুন নিয়ম: বাধ্যতামূলক অনলাইন সিএলপি দাখিল ◈ জুলাই স্মরণে শহীদ মিনারে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন (ভিডিও) ◈ জুলাই বিদ্রোহ: কোটা সংস্কার থেকে গণঅভ্যুত্থান ◈ ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা বললেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল ◈ ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন ◈ ১৮ জুলাই নতুন দিবস ঘোষণা ◈ ডিসি-এসপি কমিটি ও ইভিএম বাদ, ভোটকেন্দ্র স্থাপনে নতুন নীতিমালা জারি করলো ইসি

প্রকাশিত : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৮:৩৬ সকাল
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৮:৩৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভিক্ষা ছেড়ে ব্যবসা শুরু করলেন পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ২২ ভিক্ষুক

মাজহারুল ইসলাম ; তাদেরকে ২১টি গাভি ও মুদি দোকানের মালামাল বিতরণ করে স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করেছে সাঁথিয়া উপজেলা প্রশাসন। গতকাল বিকেলে পাবনা সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে ভিক্ষুকদের মাঝে এসব বিতরণ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পাবনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) কবীর মাহমুদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসএম জামাল আহমেদ। জাগোনিউজ

ভিক্ষা ছেড়ে পুনর্বাসিত হওয়া ব্যক্তিরা হলেন সাবের আলী, আব্দুল মজিদ, লজিরন খাতুন, ময়না খাতুন, আয়েশা খাতুন, আছের আলী, আব্দুল লতিফ, সাহেরা খাতুন, বুলু খাতুন, খোদেজা খাতুন, শুকুরন নেছা, মুনসুর আলী, আব্দুস সালাম, আব্দুর রহমান, মোতালেব হোসেন, রেজাউল করিম, জাহেদা খাতুন, জহুরা খাতুন, হাফিজা খাতুন, নেকবার মোল্লা, ওমর আলী। এদের হাতে একটি করে গাভি ও মুদি দোকানের প্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দেয়া হয়।

গাভি পাওয়া ভিক্ষুক লজিরন খাতুন ও সাহেরা খাতুন বলেন, এতোদিন ভিক্ষা করতাম। এখন গরু লালন-পালন করে সংসার চালাবো। দোকানের জন্য সামগ্রী পাওয়া হাফিজা খাতুন বলেন, স্বামী অসুস্থ। ঘরে পড়ে আছে। এতোদিন ভিক্ষা করে সংসার চালাতাম। এখন দোকানের আয় দিয়ে সংসার চালাবো। আর ভিক্ষা করতে হবে না।

এ ব্যাপারে ইউএনও এসএম জামাল আহমেদ বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভিক্ষুক পুনর্বাসনের এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এটি চলমান থাকবে। পুনর্বাসনকাজ নিয়মিত মনিটরিং করা হবে। তাদের সুবিধা-অসুবিধা দেখা হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট এলাকায় কর্মকর্তা নিয়োজিত থাকবেন।

পাবনার জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ বলেন, এসব ভিক্ষুকের হাত যেনো সত্যিকার অর্থে কর্মীর হাতিয়ার হতে পারে, সেজন্য সবাইকে গাভি দেয়া হলো। গাভির দামের সমপরিমাণ নগদ টাকা দিলে দ্রæত ব্যয় করে নিঃস্ব হয়ে যেতেন তারা। গাভি এবং দোকানের মালামাল দেয়ায় তাদের নিয়মিত আয়ের উৎস হবে। সমাজের বোঝা না হয়ে দেশের সম্পদ হবেন তারা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়