শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০১:০৬ রাত
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০১:০৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হবিগঞ্জে মাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের মাধবপুরে মাকে হত্যার দায়ে সোমবার দুপুরে ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।

হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এসএম নাছিম রেজার আদালত এ রায় দেন। দন্ডিত ব্যক্তি মাধবপুর উপজেলার একতারপুর নোয়াহাটি গ্রামের শ্রী রাজমোহন সরকারের ছেলে দীপু সরকার।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০০৪ সালের ১৫ এপ্রিল রাত ৭টার দিকে দীপু সরকার তার মা রৌশন বালা সরকারকে ভাত দিতে বলে। এ সময় মা ভাত দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে কুলাঙ্গার ছেলে একটি বাঁশের লঠি দিয়ে মাকে এলোপাতাড়ি পিটাতে থাকে। তার চিৎকার শুনে দীপুর বৌদি তুলন সরকার এগিয়ে এলে তাকেও মারধর শুরু করে। পরে পরিবারের সদস্যরা ও স্থানীয় লোকজন এসে গুরুতর আহত অবস্থায় দুইজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মা রৌশন বালা সরকারকে মৃত ঘোষণা করেন।

আহত তুলন সরকারকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ঘটনার পরই স্থানীয় লোকজন দীপু সরকারকে আটক করে মাধবপুর থানায় হস্তান্তর করে।

পরদিন ১৬ এপ্রিল নিহত রৌশন বালার স্বামী শ্রী রাজমোহন সরকার বাদি হয়ে ছেলে দীপু সরকারকে আসামি করে মাধবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ২০০৪ সালের ১৬ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাধবপুর থানার তৎকালীন এসআই শ্যাামল চন্দ্র পাল তদন্ত শেষে দীপু সরকারকে আসামি করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

মামলায় ২৪ জন সাক্ষির মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক উল্লেখিত রায় দেন। রায় প্রদানের সময় আসামি পলাতক ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষের মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সালেহ উদ্দিন আহমেদ এবং আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন শফিকুর রহমান চৌধুরী। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়