সিরাজুল ইসলাম : ডা. লি ওয়েনলিয়াং উহান সেন্ট্রাল হসপিটালের চক্ষু রোগ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। বৃহস্পতিবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বিবিসি, সিএনএন
১০ জানুয়ারি তিনি কাঁশতে শুরু করেন। পরদিন তার শরীরে জ¦র হয়। এরপর দিন তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। ৩০ জানুয়ারি তার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
তিনি করোনাভাইরাস সম্পর্কে প্রথমে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছিলেন। এরপর গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর হাসপাতালটিতে পুলিশ পরিদর্শনে যায়। তারা তাকে এ খবরটি চেপে যেতে বলে।
এরই মধ্যে দেশটিতে এ ভাইরাসে ৫৬০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। সংক্রমিত হয়েছেন ২৮ হাজারের বেশি মানুষ।
৩৪ বছর বয়সী ডা. লি এক মাস আগে দেশটির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘উয়েবু’তে একটি পোস্ট দেন। এতে তিনি করোনাভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক করেন। তিনি ৭ জন রোগীর শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত করার কথা জানান। এটা অনেকটা এসএআরএস ভাইরাসের মতো। ওই ভাইরাস ২০০৩ সালে বিশে^ মহামারী রূপ নেয়।
ডাক্তারদের গ্রুপে তিনি প্রতিরোধমূলক পোশাক পরার কথা বলেন।
চারদিন পর তাকে ডেকে পাঠায় পাবলিক সিকিউরিটি ব্যুরো। তার বিরুদ্ধে মন্তব্য করে সামাজিক অস্থিরতা তৈরির অভিযোগ আনা হয়।
গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ডা. লিসহ আটজনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিলো পুলিশ। পরে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ডা. লির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে।