ইসমাঈল হুসাইন ইমু : রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে বুধবার জানায়, দুর্ঘটনায় ১২২ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২৭ দশমিক ৪১ শতাংশ। বাসযাত্রী ৩৩ জন, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসযাত্রী ২৮ জন, ট্রাক ও পিক-আপ ভ্যানযাত্রী ২৪ জন, থ্রি-হুইলার যাত্রী ১০৬ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ২৯ জন।
দুর্ঘটনায় ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী কর্মক্ষম মানুষ নিহত হয়েছেন ৩১৭ জন, যা মোট নিহতের ৭১ দশমিক ২৩ শতাংশ। আঞ্চলিক সড়কে ১৮৪ টি (৫৪ দশমিক ১১%) এবং মহাসড়কে ১৫৬টি (৪৫ দশমিক ৮৮%) দুর্ঘটনা ঘটেছে।
দুর্ঘটনার ধরন পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, মুখোমুখি সংঘর্ষ ৬১টি (১৭ দশমিক ৯৪%), নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বা উল্টে ৮৯টি (২৬ দশমিক ১৭%), সাইড দিতে গিয়ে ৬৬টি (১৯ দশমিক ৪১%) এবং চাপা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে ১২২টি (৩৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ)। এ ছাড়া ১১টি রেল দুর্ঘটনায় ৯ জন এবং আটটি নৌ-দুর্ঘটনায় সাতজন নিহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জানায়, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, যানবাহনের বেপরোয়া গতি, চালকের অদক্ষতা, তরুণ ও যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো প্রভৃতি কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।