অনলাইন রিপোর্ট: মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এ মন্তব্য করেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি সদ্য সমাপ্ত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে দায়ী করেন।
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশন ভোটগ্রহণের সম্পূর্ণ ব্যর্থ মন্তব্য করে সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেন, পহেলা ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। সেই নির্বাচনে সর্বোচ্চ ২৭ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দেশে যত জায়গায় নির্বাচন পরিচালনার বডি রয়েছে- তা পরিচালনার ক্ষেত্রে একটা কমিটি কার্যক্রমের ক্ষেত্রেও কমপক্ষে এক-তৃতীংশ উপস্থিতি লাগে। যেখানে এক-তৃতীংশ ভোটার উপস্থিত হয়নি, সেই নির্বাচন কি গ্রহণযোগ্য? এই নির্বাচনের কোনো বৈধতা আছে? যেখানে সিংহভাগ মানুষ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারল না, তাদের মতামত ও রায় দিতে পারল না। সেই নির্বাচনের কি গ্রহণযোগ্যতা আছে?
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের উদ্ধৃতি দিয়ে হারুনুর রশীদ বলেন, ইভিএমের ফলাফলও পরিবর্তন হয়েছে। সংবিধান যখন প্রণয়ন করা হয়েছিল, তখন বাংলাদেশের কোথাও নির্বাচনে ৩০ ভাগের কম ভোটার উপস্থিতিতে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ছিল না।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমল ছাড়া অতীতে কোনো সময় স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বা জাতীয় নির্বাচনে ৫০ ভাগের কম ভোটের নজির নেই। তাই বর্তমান সরকার এবং নির্বাচন কমিশন ভোটগ্রহণ করার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। অযোগ্য অপদার্থ নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়া উচিত। এই অবস্থা থেকে তারা জনগণকে অবিলম্বে মুক্তি দেবেন বলে আশা করি।
সূত্র: যুগান্তর