সোহেল রানা, মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃশ্রীমঙ্গল বন্যপ্রাণীর অতিরিক্ত দায়িত্ব থাকা রেঞ্জ কর্মকর্তার নির্দেশে প্রাকৃতিক বনে অপরিকল্পিত ভাবে চুন প্রয়োগ করা হয়।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার বন্যপ্রাণীর নিরাপদ আবাসস্থল লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের প্রবেশ পথের দুই পাশের ছোট বড় অসংখ্য গাছে সৌন্দর্যের নামে অপরিকল্পিত ভাবে চুন প্রয়োগ করেন ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন।
প্রাকৃতিক বন অপরিকল্পিত কৃত্রিম ভাবে সাজানো নিয়ে স্হানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। দেশি পর্যটকদের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া থেকে আগত বিদেশি পর্যটকরা বলেন প্রাকৃতিক বনের গাছের মধ্যে চুন প্রয়োগ করা নয়, চুনের মধ্যে বিভিন্ন রাসায়নিক কেমিক্যাল থাকে এগুলো গাছে প্রেইন্ট করলে বনের পশুপাখি ও পোকামাকড় গাছের চুন প্রয়োগকৃত অংশে কামড় দিলে সে মারা যাবে, এটা ইকোসিস্টেমের জন্য ক্ষতিকর।
এ বিষয়ে বন্যপ্রাণী সংরক্ষক ও গবেষক আদনান আজাদ আসিফ বলেন প্রাকৃতিক বনে সৌন্দর্যের নামে ডালপালা কাটা ও রং বা চুন প্রয়োগ করা সঠিক নয়,চুনের মধ্যে যে কেমিক্যাল রয়েছে এগুলো বনের পাখি,গিরগিটি,সাপ খেলে মারা যাবে,যা পরিবেশের বিপর্যয় ঘটতে পারে।
তিনি আরো বলেন,বন তার প্রাকৃতিক গতিতেই চলবে এখানে কৃত্রিম সংস্কার করার প্রয়োজন নেই,রং বা চুন প্রয়োগ কেবল কৃত্রিম বনে প্রয়োগ করা যায়। প্রাকৃতিক বনে এটা বিজ্ঞান সম্মত নয়।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্হাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আ ন ম আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, চুন প্রয়োগ করলে গাছ পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা পায়।
বন্যপ্রাণী আইনে চুুুন প্রয়োগ আছে কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেলেন,উনার জানা নেই। বন্যপ্রাণী ও প্রাকৃতিক বন সম্পর্কে না জেনে নিজের ইচ্ছে মত কাজকর্ম করছেন রেঞ্জ কর্মকর্তা। সম্পাদনা: জেরিন
আপনার মতামত লিখুন :