চিররঞ্জন সরকার : রোগী, শিক্ষার্থী, বয়স্ক ব্যক্তি, কাজের মানুষÑ সবার ভোগান্তি সৃষ্টি করে, শব্দ দূষণ, বায়ু দূষণ, পরিবেশ দূষণ ঘটিয়ে, কাড়ি কাড়ি টাকার শ্রাদ্ধ করে ঢাকা শহরের জন্য কোন ‘দেবসন্তান’কে আমরা নির্বাচিত করতে যাচ্ছি? পরিবেশ দূষণে নিয়োজিত এই প্রার্থীরা নির্বাচিত হলে পরিবেশ নির্মল রাখবেন কীভাবে? নিজেদের পকেট ভারি করা ছাড়া তারা আমাদের কী উপকারে লাগবেন? কোন সমস্যাটার সমাধান করবেন? আর কিছুই যদি না হয় তাহলে কেন এই অশ্লীল আয়োজন? সিটি নির্বাচন নামে এই ‘মৌসুমী আজাবের’ পাশাপাশি আরও নানাভাবে চলছে নাগরিক-দলন। এমনিতেই দীর্ঘদিন ধরে মেট্রোরেলের কাজের জন্য পুরো রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোকে গর্ত করে ‘কবরখানা’ বানিয়ে রাখা হয়েছে। আর মেট্রোরেল নামের এই ‘হাতি’টি গদাইলস্কর চালে চলছে। কবে যে গন্তব্যে পৌঁছবে তার কোনো ঠিকঠিকানা নেই। এদিকে মানুষের দুর্ভোগের কোনো শেষ নেই। লাখ লাখ মানুষকে বছরের পর বছর নির্মম কষ্ট দিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে এমন নির্মাণকাজ চলে পৃথিবীর আর কোনো দেশে? এই কাজ দ্রুত শেষ করার কোনো তাগাদা কারও মধ্যে আছে বলেও মনে হয় না।
রাজধানীবাসীকে লাগাতার দুর্ভোগক্লিষ্ট করতে, অপমান করতেই যেন অপরিকল্পিতভাবে অনেক সড়কে অত্যন্ত ধীর গতিতে চালানো হচ্ছে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। এই কাজেরও শুরু আছে, কিন্তু শেষ নেই। আর এর সার্বিক ফলাফল হচ্ছে যানজটে রাজধানী অচল হয়ে পড়া। রাজধানীকে, দেশকে অচল-স্থবির বানিয়ে রখে নিশ্চিন্তে ক্ষমতার কাবাব-পরোটা খাওয়া খুব বেশিদিন সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। প্রতিকারহীন যানজটে অতিষ্ঠ ক্ষুব্ধ-বিরক্ত মানুষ যদি ঢিল ছোড়া শুরু করে, র্যাব-পুলিশ তো দূরের কথা কামান দিয়েও তা ঠেকানো যাবে বলে মনে হয় না। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা মনে রাখলে ভালো করবেন। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :